মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, আসামির মৃত্যুদণ্ড

২ সপ্তাহ আগে
বরগুনায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি এবং পরবর্তীতে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে হৃদয় খান নামের একজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া একই ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের পর মরদেহ লুকাতে সহযোগিতা করার দায়ে জাহিদুল ইসলাম নামের আরেকজনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর দুইটার দিকে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস এ আদেশ দেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ।

 

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি বরগুনার আমতলীর ১২ বছর বয়সি এক কিশোরীকে অপহরণের পর ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে হৃদয় খান। পরে টাকা না পেয়ে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পরে হত্যা করে খালের মধ্যে মরদেহ লুকিয়ে রাখেন তিনি। মরদেহ লুকাতে হৃদয়কে সহযোগিতা করেন জাহিদুল।

 

আরও পড়ুন: বরগুনায় আবারও বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা

 

পরে মুক্তিপণ চাওয়ার সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হৃদয় ও জাহিদুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী খাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ মামলায় ১৭ জনের সাক্ষ্য ও ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রমাণ অনুযায়ী হৃদয় খানের বিরুদ্ধে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি, ধর্ষণ, হত্যা ও মরদেহ লুকানো অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। আর মরদেহ লুকাতে হৃদয়কে সহযোগিতা করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জাহিদুলকে পাঁচ বছরে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

 

এ বিষয়ে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু বলেন, এ মামলার বিচারকাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য আমরা সচেষ্ট ছিলাম। সাক্ষ্য প্রমাণের মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমরা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি। তাই আদালত আজ একটি দৃষ্টান্তমূলক রায় দিয়েছেন। আমরা দ্রুত এ রায় বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করছি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন