বুধবার (৯ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরিশাল নগর পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, নগর গোয়েন্দা শাখার এএসআই আউয়ালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা যায়, এ অভিযোগ তুলে মাদকসহ আটক নারীর স্বামী মিজান বরিশাল নগর পুলিশের কমিশনার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর অভিযুক্ত এএসআই’র বিরুদ্ধে পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন বরিশাল নগর গোয়েন্দা শাখার ইন্সপেক্টর ছগির। ঘটনার তদন্ত শেষে গত রোববার (৬ এপ্রিল) তাকে বরখাস্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বিপুল পরিমাণ মাদকসহ কারবারি গ্রেফতার
এর আগে গত ২৬ মার্চ বরিশাল নগর গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত এএসআই আউয়াল জেলার গৌরনদী উপজেলায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে অভিযানে যায়। তখন মাদক ব্যবসায়ী মিজানের স্ত্রীকে বিপুল সংখ্যক ইয়াবাসহ আটক করে আউয়াল। পরে ইয়াবা ও টাকা রেখে আটক স্ত্রীকে ছেড়ে দিলে নগর পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলামের কাছে অভিযোগ দেন ওই গৃহবধূর স্বামী মিজান।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মাদক ব্যবসায়ী মিজানের স্ত্রীকে বিপুল সংখ্যক ইয়াবাসহ আটক করে এএসআই আউয়াল। এরপর সঙ্গে থাকা ইয়াবাসহ নগদ ৭৪ হাজার টাকা রেখে অভিযুক্ত নারীকে ছেড়ে দেন আউয়াল। ওই নারীর স্বামী মাদক ব্যবসায়ী মিজান বিষয়টি বরিশাল নগর পুলিশের কমিশনারকে জানান। এরপর নগর গোয়েন্দা শাখার ইন্সপেক্টর ছগির আউয়ালের বিরুদ্ধে কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
এ অভিযোগের তদন্ত করেন সহকারী পুলিশ কমিশনার রিয়াজ হোসেন। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় এএসআই আউয়ালকে ৬ এপ্রিল সাময়িক বরখাস্ত করে বরিশাল পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাদক কারবারিকে আটকের পর ছেড়ে দেয়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
তথ্য মতে, চাকরির শুরুতে কনস্টেবল পদে যোগদান করা আউয়াল পদোন্নতি পেয়ে এএসআই হওয়ার পর থেকেই এক যুগের বেশি সময় ধরে বরিশাল নগর পুলিশে কর্মরত আছেন। দীর্ঘদিন একই স্থানে থেকে নগরীর নবগ্রাম রোডে কোটি টাকা মূল্যের দুটি প্লটসহ কয়েকটি জমির মালিক বনে গেছেন। এ ছাড়া এএসআই আউয়ালের গ্রামের বাড়ি বরগুনাতে কিনেছেন নামে বেনামে কয়েক একর জমি।
অভিযোগ রয়েছে, এএসআই আউয়াল মাদকের বড় বড় চালানসহ আটকের পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা না দিয়ে মোটা অংকের ঘুসের বিনিময় তাদের ছেড়ে দিতেন। পরে ওই উদ্ধার হওয়া মাদক গোপনে বিক্রি করতেন আউয়াল।
এ বিষয়ে জানতে এএসআই আউয়ালের মোবাইল ফোনে কল দিলে সাংবাদিক পরিচয় শুনে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।