একইসঙ্গে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে লবণ সংরক্ষণের জন্য গোডাউন বা সংরক্ষণাগার নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে করে চাষিদের উৎপাদিত লবণ ন্যায্যমূল্যে বিক্রির সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, সরকার সরাসরি ন্যায্যমূল্যে চাষিদের কাছ থেকে লবণ কিনবে। এজন্য কক্সবাজার বা চট্টগ্রাম অঞ্চলে সংরক্ষণাগার নির্মাণের লক্ষ্যে জায়গা খোঁজা হচ্ছে।
রোববার (১১ মে) দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে সার্বজনীন লবণ আয়োডাইজেশন (ইউএসআই) কার্যক্রম জোরদারকরণ’ বিষয়ক স্টেকহোল্ডার সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন,এবার কোরবানির মৌসুমের চাহিদা অনুযায়ী দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে নতুন করে লবণ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্রয়োজন ছাড়া ভবিষ্যতেও লবণ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের দাবিতে টেকনাফে চাষি ও ব্যবসায়ীদের সমাবেশ
নতুন নীতিমালার কথা জানিয়ে সচিব বলেন, লবণ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা তৈরির চিন্তাভাবনা চলছে। নীতিমালা হলে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কেউ লবণ বিক্রি করতে পারবে না। পাশাপাশি প্রকৃত লবণ চাষিরাই যেন জমি বরাদ্দ পায়, সে বিষয়েও সরকার কাজ করছে।
বিসিকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে আজ পর্যন্ত দেশে লবণ উৎপাদিত হয়েছে ২১ লাখ মেট্রিক টন। ৬৯ হাজার ১৯৮ একর জমিতে ৪১ হাজার ৩৫৫ জন চাষি এই লবণ উৎপাদনে অংশ নিয়েছেন। অথচ দেশে মোট লবণের বার্ষিক চাহিদা ২৬ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান হোসাইন সজিব। উপস্থিত ছিলেন বিসিকের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি এটিএম নুরুল বশর চৌধুরীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, লবণ চাষি ও মিল মালিকরা।