মাছ ধরতে বিলের পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা, জলাবদ্ধ ৪ হাজার হেক্টর জমি!

২ সপ্তাহ আগে
নাটোরের সিংড়া উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ১০টি বিলের পানি নামার পথে মাছ ধরার জন্য লিজ দেয়ায় প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমি জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বিলগুলোর পানি বের করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়নদহ, লালোর ও শেরেকাল ইউনিয়নের এই ১০টি বিলের পানি একমাত্র গদাই নদীর মাধ্যমে বের হতে পারে। গদাই নদীর শাওল এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালীরা মিনি সুইসগেট স্থাপন করেছেন, যা দিয়ে পানি বের হয়। তবে তারা এই সুইসগেট মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে ৬ লাখ ৫৭ হাজার টাকায় লিজ দিয়ে দিয়েছে।

 

মাছ ব্যবসায়ীরা বিলের পানি বের হওয়া পথে অবৈধ সোঁতি জাল বসিয়েছেন। ফলে পানি নামছে ধীরগতিতে। এতে বিলের জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকরা দুর্ভোগে পড়ছেন। আগামী ইরি মৌসুমের বীজতলা ও অন্যান্য ফসল রোপণে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।

 

কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বিষয়টি জানালেও এখনও কোনো সমাধান বা কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি। পুটিমারি এলাকার সুফি সান্টু বলেন, ‘প্রতিবছরই এই সমস্যায় ভুগতে হয়। চলতি বছর এখনও বিলের পানি নামেনি, তাই ইরি ধান চাষ হবে কি না সন্দেহ আছে।’

 

আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ফসল, বিপাকে নওগাঁর চাষিরা

 

নামার জায়গায় লিজ গ্রহণকারী শামীম হোসেন বলেন, ‘পানি বের হওয়ার গতি বেশি করলে জালের ক্ষতি হবে। বেশি স্রোতে মাছ ধরা সম্ভব না, তাই পানি নামার গতি ধীর রাখা হয়েছে।’

 

লিজ প্রদানকারীদের একজন আরিফুল ইসলাম জানান, ‘বর্তমানে পানির নিচে থাকা খালটিসহ গদাই নদীর পারের জায়গা আমার পূর্বপুরুষদের তারা মসজিদের নামে খাল লিখে দেয়ায় এই জায়গা মসজিদের নামে লিজ দেয়া হয়েছে।’

 

সিংড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার ফরিদ বলেন, ‘জলাবদ্ধতার কারণে চৈতালি ফসল থেকে বঞ্চিত হয়েছেন কৃষকরা। ইরি মৌসুমের চাষ নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।’

 

সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম জানান, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ইরি মৌসুমের আবাদ নিশ্চিত হবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন