সরেজমিনে দেখা গেছে, বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে সবচেয়ে বেশি ফুটপাত দখলের ঘটনা ঘটছে। যেখানে পথচারীদের হাঁটার কথা, সেখানে রাখা হয়েছে নির্মাণ সামগ্রীর স্তূপ, গাড়ি পার্কিং, এমনকি গাছের ব্যবসাও চলছে। একই অবস্থা রাজাপুর-কাঠালিয়া এবং নলছিটি-পটুয়াখালী সড়কের বিভিন্ন জায়গায়।
মগড় এলাকার বাসিন্দা সোবাহান জমাদ্দার বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ঝালকাঠির মহাসড়কে যানবাহনের চাপ দ্বিগুণ হয়েছে। অথচ রাস্তার প্রশস্ততা বাড়েনি। এমন সংকীর্ণ অবস্থার মধ্যেই ফুটপাত দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা, যা পথচারীদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
সম্প্রতি মহাসড়কের ফুটপাতে রাখা নির্মাণ সামগ্রীতে ধাক্কা লেগে এক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তরুণের মৃত্যু হয়েছে। শহরের সাংস্কৃতিক সংগঠক সুভাষ বিশ্বাস বলেন, ‘প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে দুর্ঘটনা আরও বাড়বে।’
আরও পড়ুন: ‘পকেটমারের’ সাজা মাথা ন্যাড়া করে হিন্দি গানে নাচ!
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার শরীফ খান বলেন, ‘জাতীয় মহাসড়ক ও এর ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা ও অস্থায়ী ব্যবসা বন্ধে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে।’
প্রসঙ্গত, ঝালকাঠি থেকে খুলনা রুটে ৩৭ কিলোমিটার এবং কুয়াকাটা রুটে ৮ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। এর অধিকাংশ জায়গাতেই ফুটপাত দখলের একই চিত্র দেখা যায়, যা যাত্রী ও পথচারীদের চলাচলে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
]]>