জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর পরিবেশ ও প্রকৃতি হুমকির মুখে। যার প্রধান কারণ নির্বিচারে বননিধন। ভয়াবহ এই সংকটের মোকাবিলায় বিভিন্ন উপায়ের কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা। যার অন্যতম বননিধন বন্ধ করা।
সেই লক্ষ্যেই পৃথিবীর রেইনফরেস্টগুলোর ওপর নজরদারি চালানোর পরিকল্পনা করছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি। ২৯ এপ্রিল মহাকাশে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে বায়োমাস নামের এক বিশেষ নজরদারি যন্ত্র। এর লক্ষ্য পৃথিবীর সবচেয়ে ঘন বনাঞ্চলে কার্বনের পরিমাণ পরিমাপ করা, আর সেই তথ্য দিয়ে আবহাওয়ার পরিবর্তন ও বন উজাড়ের আসল চিত্র তুলে ধরা।
আরও পড়ুন: চাঁদে অবতরণ করলো দ্বিতীয় বেসরকারি মহাকাশযান
বনের ভেতর কী চলছে তার তথ্য এবার নেয়া হবে মহাকাশ থেকে। এমনই পরিকল্পনা ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বনাঞ্চলগুলোতে কার্বনের পরিমাণ পরিমাপ করার পাশাপাশি তথ্য সংগ্রহ করে আবহাওয়ার পরিবর্তন ও বন উজাড়ের আসল চিত্র তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে আসন্ন ২৯ এপ্রিল মহাকাশে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে বায়োমাস নামের এক বিশেষ স্পেস প্রকল্প।
বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতিবছর পৃথিবীর বনাঞ্চল প্রায় ৮ বিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড টেনে নেয়। কিন্তু ধ্বংস আর উজাড়ের কারণে সেই কার্বন আবার ফিরে যাচ্ছে পরিবেশে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বোঝা যাবে, প্রতিবছর কয় টন কার্বন বনভূমিতে জমা হচ্ছে এবং কীভাবে উজাড় ও ক্ষয়ের ফলে আবার তা বাতাসে ফিরে যাচ্ছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২৯ এপ্রিল উৎক্ষেপণের পর যন্ত্রটি কয়েক বছর ধরে পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হুমকির মুখে পড়েছে বনাঞ্চল। আমাদের এই তথ্য প্রয়োজন। এই যন্ত্র জলবায়ু পরিবর্তনের তথ্য সরবরাহ করবে।
আরও পড়ুন: ১২ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত প্রাণী ফিরল জিন প্রযুক্তির হাত ধরে
নজরদারি যন্ত্রটির সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে এক উন্নত রাডার স্ক্যানার, যার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বনাঞ্চলের পাতার উভয়পাশ এবং মাটির কাছাকাছি পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে।
বায়োমাস প্রোবের প্রধান লক্ষ্য বন থেকে কার্বন সঞ্চয়ের পূর্ণ চিত্র তুলে ধরা। এই তথ্য শুধু গবেষণার জন্য নয়, বরং তা জলবায়ু নীতিমালায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
]]>