সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা থেকে বিকেল সোয়া ৩টা পর্যন্ত মসজিদের এলইডি স্ক্রিনে এ লেখা দেখতে পান সাধারণ মুসল্লিরা। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা।
এ খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে পড়লে বড় মসজিদ এলাকায় মুসল্লি ও সাধারণ মানুষের ভিড় জমতে থাকে। এক সময় ছাত্র-জনতা মসজিদ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ জানাতে থাকে। খবর পেয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন। পরে মসজিদের স্ক্রিন অপারেটর জমির হোসেনকে আটক করে ফেনী মডেল থানা নিয়ে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
একপর্যায় বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা এসে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। সমাবেশে বক্তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ফ্যাসিস্ট আমলে ফেনীর বড় মসজিদ কমিটি বাতিল করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।
ছাত্র সমন্বয়ক ও সাধারণ মানুষ বলেন, এই মসজির কমিটিতে আওয়ামী লীগের লোকজন ছিল। অনেকে এখনও আছে, তারাই এমন ন্যক্কারজনক কাজ করেছে।
আরও পড়ুন: খুলনা রেলস্টেশন: স্ক্রিনে ভেসে উঠলো 'ছাত্রলীগ ভয়ংকর রূপে ফিরবে'
ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার বলেন, আমরা জামায়াতের সঙ্গে আলোচনা করে ফেনীর জেলা প্রশাসকের কাছে মসজিদ ও মুসল্লি বান্ধব নতুন কমিটি জমা দিয়েছি। কমিটির অনুমোদন না দেয়ার কারণেই বিগত দিনের ফ্যাসিস্টদের কমিটি এ ঘটনা ঘটানোর সাহস করেছে।
ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, বিষয়টি গভীরভাবে দেখা হচ্ছে। আটক ব্যক্তির কাছ থেকে তথ্য নেয়ার চেষ্টা চলছে।