তাকবিরে তাহরিমা না পড়ে রুকু করা
অনেকে তাড়াহুড়ো করে এসে তাকবিরে তাহরিমা (আল্লাহ আকবার) না বলে রুকুতে চলে যান। ইমামের সঙ্গে জামাত ধরতে এমনটি করেন। রুকুর জন্য তাকবির পড়লে তা তাকবিরে তাহরিমা হবে না। আর তাকবিরে তাহরিমা না পড়লে নামাজ হবে না।
আরও পড়ুন: ফোরাত নদীতে স্বর্ণের পাহাড় নিয়ে যে ভবিষ্যদ্বাণী নবীজির
দৌড়ে রুকুতে যাওয়া
জামাত ধরার জন্য অনেকেই দৌড় দেন। এ কাজ নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পছন্দ করতেন না। এ ব্যাপারে সাহাবিদের নিষেধ করেন। হজরত আবু কাতাদা (রা.) বর্ণিত হাদিসে আছে,
একবার আমরা নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে নামাজ আদায় করছিলাম, নামাজে তিনি ছোটাছুটির শব্দ শুনতে পান। নামাজ শেষে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমরা কী করছিলে?’ তারা বলল, ‘আমরা নামাজের জন্য তাড়াহুড়ো করে আসছিলাম।’ আল্লাহর রসুল (সা.) বললেন, ‘এমন কাজ কখনো কোরো না। শান্তিপূর্ণ ও ধীরস্থিরে নামাজে আসবে। তাতে যে কয় রাকাত ইমামের সঙ্গে পাবে, তা আদায় করে নেবে, আর যা ছুটে যায় তা ইমামের নামাজের পর পূর্ণ করে নেবে।’ (বুখারি)
আরও পড়ুন: শাম অঞ্চল নিয়ে কোরআন ও হাদিসে যা বলা হয়েছে
কাতার অপূর্ণ রাখা
কাতার অপূর্ণ রাখা নামাজের খেলাফ। প্রথমে ইমামের সোজা পেছনে দাঁড়াবে, তারপর ডানে ও বাঁয়ে সমানভাবে মুসল্লি যোগ হতে থাকবে। এভাবে এক কাতার পূর্ণ হলে একই নিয়মে পরবর্তী কাতার পূর্ণ করবে।
]]>