বাজারে সবার আকর্ষণ ও নজর কাটছে এ উটগুলো। সাধারণত কোরবানির হাটে তেমন দেখা যায় না উট। তাই দেখতে দূরদূরান্ত থেকে কৌতূহলী ও উৎসুক মানুষের ভিড়। নিজেকে উটের সঙ্গে একই ফ্রেমে বন্দি করছেন দর্শনার্থীরা।
হাটে ঢুকতে একটু ভিতরে হাতের বাম পাশে দেখা মেলে উটগুলোর। তরুণরা কেউ ছুঁয়ে দেখছেন, কেউ হাত বুলিয়ে আদর করছেন। বিপুল উৎসাহ নিয়ে ছবি তোলা, ভিডিও করা ও উটের পাশে দাঁড়িয়ে হাসি মুখে পোজ দিয়ে ছবি তুলছেন। কেউ কেউ কৌতূহল নিয়ে দাম জিজ্ঞেস করছেন।
আবদুল আব্বাস মিয়া এসেছেন তার ছেলেকে কোলে নিয়ে উট দেখতে। তিনি বলেন, আগে টিভিতে উট দেখেছি। এখন সরাসরি দেখছি। ভালো লাগছে। আমার ছেলেও আনন্দিত।
আরও পড়ুন: গাবতলীতে নজর কাড়ছে ‘মরুর জাহাজ’
হাট দেখে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ কিংবা ভারতের রাজস্থানের কোনো পশুরহাট মনে হবে। তবে আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কর্ণফুলী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মইজ্জারটেক কোরবানির হাটে এই নতুন চমক নিয়ে হাজির হয়েছেন এক ব্যবসায়ী। যেখানে স্থান পেয়েছে মরুভূমির জাহাজ খ্যাত তিনটি উট।
শৌখিন ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে প্রথমবারের মতো তিনটি উট আনা হয়েছে এ বাজারে। উচ্চতা ১২ ফুট। আর ওজন ১৫ মণ। প্রতিটির দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩০ লাখ টাকা করে। বিক্রেতা আকবর জানান, ‘আমি তিনটি উট এনেছি। মানুষের ভিড় উপচে পড়ছে। ক্রেতারাও আসছেন। তবে এখনো বিক্রি হয়নি। দাম কষাকষি চলছে। প্রচুর পরিমাণ ছোলা, ডাল ও ভুট্টা দিতে হয় উটগুলোকে।’
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সীমান্ত জেলা যশোরের বেনাপোল থেকে আনা হয়েছে উটগুলো। মইজ্জারটেক পশুর হাটের ইজারাদার জসিম উদ্দিন জুয়েল বলেন, প্রতিবছর আমাদের হাটে গরু-মহিষ তোলা হয়। তবে এবার শৌখিন ক্রেতাদের কথা ভেবে বড় আকৃতির কয়েকটি উট তোলা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা থেকে এই হাটে ১৮টি গরু এনেছে এক ব্যাপারী। তবে সবার আকর্ষণ সাদা আকৃতির একটি গরুতে। ওজন ২৫ মণ, দাম হাঁকাচ্ছেন ১২ লাখ টাকা। আছে পছন্দের লাল গরুও।
]]>