বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে স্থাপনা ও পুরোনো বাড়িটির ভেতরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
রওশন এরশাদকে ফ্যাসিবাদের দোসর উল্লেখ করে তার পৈতৃক বাড়িকে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ‘দালাল মহল’ হিসেবে চিহ্নিত করে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি এ বাড়িতে ‘কুটুম বাড়ি’ নামে একটি রেস্টুরেন্টের মালিক বজলুর রহমান ১২ বছরের জন্য ভাড়া নিয়েছেন রওশন এরশাদের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে। সেখানে স্থাপনা নির্মাণের কাজও শুরু হয়।
এ নিয়ে ২৩ এপ্রিল বাড়িটির সামনে মানববন্ধন করে বাণিজ্যিক ভবন না করে জুলাই স্মৃতি জাদুঘর করার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ঋণ দেয়ার আশ্বাসে ৮২ লাখ টাকা আত্মসাৎ, প্রতারক আটক
এ নিয়ে পদক্ষেপ না নেয়ায় ও রেস্টুরেন্টের স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলমান রাখায় বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ২টার দিকে সেখানে ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। স্থাপনা ভাঙচুরের পাশাপাশি পুরোনো ভবনের বিভিন্ন কক্ষের আসবাবপত্রও ভাঙচুর করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ময়মনসিংহ মহানগর শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব ওয়ালিদ আহমেদ বলেন, দালাল মহলকে বাণিজ্যিক ভবন বানানোর পাঁয়তারা হওয়ায় সেটি বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিলেও সেটি বন্ধ হয়নি। ওই অবস্থায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সেখানে গিয়ে স্থাপনা ভেঙে দিয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, রওশন এরশাদের বাড়িতে রেস্টুরেন্ট নির্মাণ কাজ চলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: মশার কাছে হার মানছেন ময়মনসিংহবাসী!
ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুফিদুল আলম বলেন, বাড়িটি ঘিরে ছাত্র-জনতার ক্ষোভ থাকায় সেখানে কোনো বাণিজ্যিক স্থাপনা না করাই উচিত। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
]]>