তবে রোববার বিকেল ৩ টা থেকে দমকা হাওয়ার সঙ্গে ঝরে অঝোর বৃষ্টি। ময়মনসিংহ নগরী, ত্রিশাল, গফরগাঁওসহ বিভিন্ন উপজেলায় হিমেল হাওয়া ও শিলাবৃষ্টি হয়। এতে উত্তাপ কমে নিমিষেই জনমনে নেমে আসে স্বস্তি।
ময়মনসিংহ নগরীর জয়নুল আবেদিন পার্কে গিয়ে দেখা যায়, আচমকা বৃষ্টিতে বিভিন্ন দোকানের ছাউনিতে আশ্রয় নিয়েছে। অনেক তরুণ-তরুণীকে আবার ভিজতেও দেখা গেছে।
মইনুল হক নামে এক যুবক বলেন, ‘বেলা ৩টার দিকে আচমকা আকাশ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে ঝড়ো বাতাস শুরু হয়। এরপরই শুরু হয় বৃষ্টি। তখন নগরীর মানুষ বৃষ্টির ছোঁয়া পেতে ঘর থেকে বাইরে বের হয়ে আসে। আমরাও এই মুহূর্তটা উপভোগ করতে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে চলে এসেছি।’
আরও পড়ুন: রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি, সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস
সুজন মিয়া নামে এক রিকশাচালক বলেন, ‘অনেক গরম পড়ছিল। রিকশা চালানো কষ্ট হচ্ছিল। আজ বৃষ্টি হলো। বৃষ্টিতে ভিজেই রিকশা চালাচ্ছি।’
ত্রিশালের বাসিন্দা আব্দুল হাকিম বলেন, ‘উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় দুপুরের পর থেকে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এতে ধানের কিছুটা ক্ষতি হলেও গরমের অস্বস্তি কেটে গেছে।’
এদিকে, বৃষ্টিতে জনমনে স্বস্তি নেমে এলেও সদর উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মরাকুড়ি এলাকায় ঝরে গাছ উপড়ে চাপা পড়ে এবং ডাল ভেঙে প্রাণ হারিয়েছেন নির্মাণশ্রমিক সজীব মিয়া (২৫) ও কৃষক সুরুজ মিয়া (৭০)।