‘মনের বাসনা পূরণ’র মেলায় ভক্তদের ভিড়

৩ সপ্তাহ আগে
মনের বাসনা পূরণে ২০০ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী মেলায় হাজারো ভক্তের উপস্থিতি। প্রতি বছরই এটি পরিণত হয় মিলনমেলায়।

শনিবার (৩ মে) দিনব্যাপী ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের গড়েয়া ইউনিয়নের মিলনপুর গ্রামে নাককাটি নামের মেলায় মিলিত হন সবাই।


কারও হাতে খেলনা, কারও হাতে গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। তরুণীরা কিনেছেন তাঁদের পছন্দের চুড়ি-ফিতা ও কসমেটিক্স এর গহনা, কেউবা বাড়ির জন্য নিয়ে ফিরছেন মুখরোচক তেলে ভাজা বিভিন্ন রকম খাবার নিয়ে। উৎসবের আমেজে রুপ নেয় মেলা প্রাঙ্গণ।


আরও পড়ুন: গাইবান্ধার যেখানে এলে পূরণ হয় ‘মনের ইচ্ছে’!


আয়োজকরা জানান, শ্রী শ্রী শ্যামসুন্দর গৌড়ীয় মঠ-লস্করা টুপুলীর আয়োজনে এবার নিয়ে ২০০তম বারের মতো আয়োজন করা হয় নাককাটি নামক এ মেলার। মেলা উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে দুই শতাধিক দোকানি নানা রকমের পণ্য নিয়ে হাজির হয় এখানে। মাটির তৈরি খেলনা ও শিল্পকর্ম, বাঁশ, বেত, কাঠ, শঙ্খ, লোহা এবং গ্রামীণ হস্তশিল্পের বাহারি পণ্য যেন ফিরে নিয়ে যায় লোকজ ঐতিহ্যের অতীত দিনে।


মেলায় নানা দোকানে শিশুদের জন্য খেলনা, ঘরোয়া প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র এবং গ্রামীণ খাদ্যের পসরা ছিল জমজমাট। মেলাকে কেন্দ্র করে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব বয়সের মানুষ উৎসব-আনন্দে মেতে ওঠেন।


আয়োজকদের দাবি, নাককাটি ঠাকুরের নাম অনুসারেই মেলাটির নামকরণ করা হয়। নাককাটি ঠাকুর মন্দিরের পাশে একটি পুকুরের অবস্থান। সেই পুকুরের পানি শরীরে ছিটালে সমস্ত রোগ বালাই দূর হয়। কেউ যদি এ পুকুরের পানি পান করে কোনো ‘মানত’ রাখে তা পূর্ণ হয়। এজন্যই নাককাটি পূজা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এ অঞ্চলের হিন্দুধর্মের অনুসারীদের কাছে। সে পূজাকে কেন্দ্র করে বসে নাককাটি মেলা। সে সময় শুধু হিন্দু ধর্মের মানুষ এ মেলায় আসতেন। তবে এ মেলা এখন আর কোনো ধর্মের মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সম্প্রীতির এক মেলবন্ধন হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সচেতনতায় খুলনায় হলো ‘হেলদি মেলা’ আর ম্যারাথন

এ বিষয়ে মেলা কমিটির হরদেব কুমার জানান, যুগ যুগ ধরে মেলাটি পরিচালিত হয়ে আসছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে পূজা অর্চনার পাশাপাশি মনের বাসনা পূরণের জন্য দূর দূরান্ত থেকে হাজির হয়। মেলাটি যেন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করে স্থানীয়রা। আমরা মনে করি এ মেলাটি যুগের পর যুগ ধরে পরিচালিত হোক।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন