পহেলা বৈশাখ লোকজের সঙ্গে নাগরিক জীবনের সেতুবন্ধন। ব্যস্ত নগর কিংবা গ্রামীণ জীবন, এই নববর্ষই বাঙালি জাতিকে একত্র করে জাতীয়তাবোধে। সাম্প্রদায়িকতা, কুসংস্কার ও জীর্ণ-পুরনোকে পেছনে ফেলার প্রত্যয়ে আয়োজন করা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রার। ধর্ম, বর্ণ সব পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে বাঙালি জাতি নববর্ষকে বরণ করে। আদিবাসী ও বিভিন্ন জনগোষ্ঠী আলাদা আলাদাভাবে উদযাপন করে দিনটিকে।
আরও পড়ুন: এবার পহেলা বৈশাখে শোভাযাত্রা হবে ভিন্ন আঙ্গিকে: ফারুকী
তবে এবার নতুন বছরকে বরণে আসছে ভিন্নতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে নববর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি বিষয়ে বৈঠক করে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ অংশীজনরা। ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা। বৈঠক শেষে বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
জানান, এবার বর্ষবরণ হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক। শুধুমাত্র বাঙালিদের নিয়ে নয়, একই শোভাযাত্রায় বিভিন্ন ব্লকে থাকবে চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, গারোসহ সব জাতিগোষ্ঠী ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী। সংস্কৃতির সব ধারাকে এক জায়গায় আনাই মূল লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: বাইফার উপদেষ্টা হলেন তাসনোভা মাহবুব সালাম
এসব পরিকল্পনার বাস্তবায়ন কোন প্রক্রিয়ায় হবে, তা নিয়ে একাধিক কমিটি করা হবে।
]]>