শুক্রবার (৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টায় দুলারহাট থানার আবু বক্করপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাসুদ ওই গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে ও ঢাকা সাভার এলাকার একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
নিহতদের ভাই রায়হান জানান, ঈদে তারা ঢাকা থেকে আবুবক্করপুর গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বুধবার রাতে তার স্ত্রী আকলিমা ও বোন সিমার মধ্যে ঝগড়া হয়। এসময় প্রতিবেশী আবুবক্করপুর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আলামিনসহ কয়েকজন যুবক ওই বাড়িতে গিয়ে ঝগড়ার কারণ জানতে চান। এসময় তার ছোট ভাই রাসেল তাদের ঘরে ঢুকতে না দিয়ে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন। এনিয়ে ওই স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার সঙ্গে তাদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। তর্কের জেরে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তার দলবলকে ডেকে এনে রাতেই প্রথম দফায় ওই বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেন।
পরে স্থানীয়রা ছুটে এসে তৎক্ষণিক ওই ঘটনার মীমাংসা করে দেন। এতে সন্তুষ্ট হননি স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আলামিন। তার অব্যাহত হুমকি ধামকিতে বাড়িতেই অবরুদ্ধ ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে ভাইয়ের শাবলের আঘাতে বড় ভাই নিহত
শুক্রবার তাদের পারিবারিক কাজে দুলারহাট বাজারে যাওয়ার সময় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আলামিনসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা মোটরসাইকেল যোগে গিয়ে তাদের গতিরোধ করে দুই ভাইকে বেধড়ক মারধর করেন। পরে তাদের বাড়িতে গিয়ে বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর শুরু করেন। এসময় তার ভাই মাসুদসহ অপর সদস্যরা বাধা দিলে মাসুদসহ ৬ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে নেয়ার মাসুদকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
নিহতের চাচা সালাউদ্দিন জানান, পুর্বের ঘটনার জন্য একটি সমোঝতার তারিখ হয়েছিল। ওই সমোঝতার তারিখ উপেক্ষা করে অভিযুক্ত ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আলামিন শুক্রবার সকালে ফের তার দুই ভাতিজার ওপর হামলা চালিয়ে ফের তাদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর করেন। তাদের হামলা ও মারধরে তার ভাতিজা মাসুদ নিহত হয়েছেন। এহত্যার বিচারের দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত
যুবকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্তরা আত্মগোপনে থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দুলারহাট থানার ওসি আরিফ ইফতেখার জানান, হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা মর্গে পাঠানোর প্রস্ততি চলছে পাশাপাশি মামলা দায়ের ও অভিযুক্তদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।