রোববার (৪ মে) সন্ধ্যার পর থেকে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনাল এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন বাস শ্রমিকরা। এ ঘটনায় পর থেকে জেলার অভ্যন্তরীণ পাঁচটি রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ধর্মঘটের ডাক না দিলেও যাত্রী পরিবহন করছেন না সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা। এক সপ্তাহের মাথায় বাস ও অটোরিকশা শ্রমিকদের মধ্যে এটি দ্বিতীয় সংঘর্ষের ঘটনা।
জানা যায়, রোববার বিকেল ৫টার দিকে ভোলা চরফ্যাসন সড়কের জয়নগর স্কুল এলাকায় যাত্রী উঠানো নিয়ে হাজী পরিবহন নামে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: হামলার প্রতিবাদে ভোলার অভ্যন্তরীণ রুটে বাস ধর্মঘট
বাস ও মিনি বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মন্নান অভিযোগ করে বলেন, ‘সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা একত্রিত হয়ে একই সময়ে বাংলাবাজার, ভেদুরিয়া, কুঞ্জেরহাট, লালমোহন, কর্তারহাট, বোরহানউদ্দিনসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বাস আটকে রাখেন। তাদের (সিএনজি চালকদের) হামলায় ১৬ বাসচালক-শ্রমিক আহত হয়েছেন। তিনটি গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ করেন তিনি।
সিএনজিকে অবৈধ যান উল্লেখ করে মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ ও হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন আবদুল মন্নান।
এ দিকে ঘটনার পর থেকেই বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল এলাকায় বাস শ্রমিকরা অবস্থান নিয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। টায়ার জ্বালিয়ে সড়কে অবরোধ করা হয়। তবে বাস শ্রমিকদের বিক্ষোভের সময় টার্মিনাল এলাকায় সিএনজি চালকদের দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে বড় বাজারে ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট
সিএনজি চালকদের নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ অটোরিকশা ও হালকা যান পরিবহন ফেডারেশনের জেলা সভাপতি মাকসুদুর রহমান জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়ার চেষ্টা করলে এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় জেরে বাস শ্রমিকরা চারটি অটোরিকশা ভাঙচুর, ৫টি অটোরিকশা আটক করে রাখে। সড়কে তারা সুষ্ঠু পরিবেশ ও সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
বিক্ষোভ মিছিলের পর পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করছে বলে জানান ভোলা সদর থানার এসআই জহিরুল হক।
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল এ দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বাস শ্রমিকরা ধর্মঘটের ডাক দেন। এতে প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।