সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ৩টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা পিজি হাসপাতালে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
তিনি স্ত্রী, এক ছেলে , দুই মেয়ে সহ বহু আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ঢাকা থেকে তার মরদেহ ভোলায় আনার পর মঙ্গলার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। জানাযা শেষে মহাজনপট্টি বড় জামে মসজিদের কবরস্থানে মরহুমের বাবা মায়ের কবরের পাশে দাফন করার কথা রয়েছে।
এ গুণি সাংবাদিকের মৃত্যুতে ভোলার গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
পাকিস্তান আমলে ১৯৬৬ সালে দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন এম. হাবিবুর রহমান। ১৯৭০ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের গাছে গাছে মানুষের লাশ ঝুলতে থাকা সহ ভয়াবহ ধংসযজ্ঞের সচিত্র খবর এম হাবিবুর রহমান প্রথম দেশ বিদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরেন। এছাড়া ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনীর অত্যাচার- নির্যাতনের বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার ছিলেন প্রবীণ এ কলম সৈনিক। অবহেলিত দ্বীপ ভোলার মানুষের উন্নয়ন, সংকট, সম্ভাবনা বিষেয় মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লিখে গেছেন। বাংলাদেশ বেতারের ভোলা প্রতিনিধি ছিলেন র্দীঘ বছর। বনার্ঢ্য কর্মজীবনে খেলাধুলা, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অবদান ছিল তার।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নিপীড়ন দূর করতে রাষ্ট্রের মানসিকতা পরিবর্তন জরুরি: অ্যাটর্নি জেনারেল
এম. হাবিবুর রহমান একমাত্র ছেলে হাসিব রহমান বর্তমানে দৈনিক জনকন্ঠ ও মাছরাঙা টেলিভিশনের ভোলা জেলা প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত আছেন।

২ দিন আগে
১






Bengali (BD) ·
English (US) ·