বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে দ্বীপজেলা ভোলার চরফ্যাসন ও মনুপরার গন্তব্যে পৌঁছাতে একজন যাত্রীকে ৪ থেকে ৫ বার বাস-লঞ্চ পরিবর্তন করতে হয়। এতে সময় লাগে ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা। ভোগান্তির এ যাতায়াত সহজ করতে দীর্ঘদিন ধরেই চরফ্যাসন থেকে চট্টগ্রাম লঞ্চ সার্ভিসের দাবি করে আসছিল ওই রুটের যাত্রীরা।
আসন্ন ঈদুল ফিরত উপলক্ষে ২০ মার্চ থেকে কর্ণফুলী ক্রুজলাইন এ রুটে এমভি বার আউলিয়া ও কর্ণফুলি এক্সপ্রেস নামের দুটি বিলাসবহুল নৌযানে যাত্রী পরিবহণ শুরু করে। ২১ মার্চ সকাল ৮টায় চরফ্যাসনের বেতুয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া এমভি বার আউলিয়া জাহাজটি লালমোহনের মঙ্গল শিকদার, তজুমদ্দিন, মনপুরা, ঢালচর ও হাতিয়া হয়ে ৯ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম সদরঘাট পৌঁছায়। একই সময়ে চট্টগ্রাম থেকে যাত্রী নিয়ে কর্ণফুলি এক্সপ্রেস চরফ্যাসনে বেতুয়া ঘাটে আসে।
উপকূলের দুর্গম এলাকার মানুষের নিরাপদ ও ভোগান্তি বিহীন আরামদায়ক যাতায়াত নিশ্চিত করতে এ সার্ভিস অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়ে এমভি বার আউলিয়া লঞ্চের ক্যাপটেন মো. মহিউদ্দিন জানান, উপকূলে চলাচলকারী অন্য সকল নৌযানের চেয়ে তাদের নৌযান অনেক বেশি নিরাপদ ও যাত্রী বান্ধব। আশানুরূপ যাত্রী পেলে সারাবছর চলাচল করবেন তাদের জাহাজ। এছাড়া যাত্রীদের জন্য উন্নত সেবার নিশ্চিত করার কথা জানান ওই কোম্পানির জিএম এডমিন মাহাবুব আলম।
আরও পড়ুন: ঘরে বসেই বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও বিমানের টিকিট কাটবেন যেভাবে
এদিকে চট্টগ্রাম থেকে সড়ক পথে লক্ষ্মীপুর, সেখান থেকে নৌযানে মেঘনা পাড়ি দিয়ে ভোলার ইলিশা এসে আবার বাস ও সিএনজিতে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয় জেলার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষদের। পথে পথে নানা ভোগান্তির পাশাপাশি যাতায়াত খরচও গুনতে হয় দ্বিগুণ। তাই চরফ্যাসন থেকে চালু হওয়া নতুন লঞ্চ সার্ভিসটি সহজ যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবেই দেখছেন তারা। কোনো চক্রান্তে যেন এটি বন্ধ না হয় সেই দাবিও জানান যাত্রীরা।
চট্টগ্রাম থেকে ভোলার বেতুয়া পর্যন্ত কেবিন ভাড়া ১ হাজার ৬০০ থেকে সাড়ে ৫ হাজার আর ইকোনোমি চেয়ারের ভাড়া ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা। ভোলার জেলা ও নোয়াখালীর হাতিয়া উপকূলের লক্ষাধিক মানুষ চট্টগ্রামে বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িত।