ভূমিকম্পের সময় নিরাপদে থাকতে কী করবেন?

১৪ ঘন্টা আগে
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এতে মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্প বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ও ডেকে আনতে পারে। তাই আতঙ্কিত না হয়ে মনোবল শক্ত রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।

প্রতিনিয়তই বিশ্ব কোনো না কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হচ্ছে। এর মধ্যে খুবই বিধ্বংসী একটি হলো ভূমিকম্প। সাধারণত কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই এটি সংঘটিত হয়ে থাকে। তাই এর ক্ষয়ক্ষতিও অনেক বেশি হয়ে থাকে।

 

আবহাওয়া অধিদফতরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার ১০টা ৩৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৭। এটি মধ্যম মাত্রার ভূমিকম্প।

 

এদিকে, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিস) বলছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৫। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল নরসিংদী। ভূমিকম্পের সময় ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অনেকেই আতঙ্কে ঘর থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। ভূমিকম্পটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল।

 

আরও পড়ুন: রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভূমিকম্প

 

তবে একটু সচেতন হলে এবং কয়েকটি বিষয় মেনে চললে সহজেই ভূমিকম্পের ধাক্কা থেকে যথাসম্ভব নিরাপদে থাকা যায়। আসুন জেনে নেয়া যাক ভূমিকম্পের সময় আপনি কী করবেন-

 

  • ভূকম্পনের সময় বিছানায় থাকলে বালিশ দিয়ে মাথা ঢেকে টেবিল, ডেস্ক বা শক্ত কোনো আসবাবপত্রের নিচে আশ্রয় নিন।

 

  • ভূকম্পন অনুভূত হলে আতঙ্কিত হবেন না।

 

  • বিল্ডিংয়ের কলাম ও পিলার ঘেঁষে আশ্রয় নিন।

 

  • রান্না ঘরে থাকলে গ্যাসের চুলা বন্ধ করে দ্রুত বেরিয়ে আসুন।

 

  • ঘরের বাইরে থাকলে গাছ, উঁচু বাড়ি, বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে খোলাস্থানে আশ্রয় নিন।

 

  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালে শিশুদের স্কুল ব্যাগ মাথায় দিয়ে শক্ত বেঞ্চ অথবা শক্ত টেবিলের নিচে আশ্রয় নিতে বলুন।

 

  • ভাঙা দেয়ালের নিচে চাপা পড়লে বেশি নড়া চড়ার চেষ্টা করবেন না। কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন, যাতে ধুলা বালি শ্বাসনালিতে না ঢোকে।

 

  • গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, হাসপাতাল, মার্কেট ও সিনেমা হলে থাকলে বের হওয়ার জন্য দরজার সামনে ভিড় কিংবা ধাক্কাধাক্কি না করে দুই হাত মাথা ঢেকে বসে পড়ুন।

 

  • ওপরতলায় থাকলে কম্পন বা ঝাঁকুনি না থামা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তাড়াহুড়ো করে লাফ দিয়ে বা লিফট ব্যবহার করে নামা থেকে বিরত থাকুন।

 

  • একবার কম্পন হওয়ার পর আবারও কম্পন হতে পারে। তাই সুযোগ বুঝে বের হয়ে খালি জায়গায় আশ্রয় নিন।

 

  • গাড়িতে থাকলে ওভার ব্রিজ, ফ্লাইওভার, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে গাড়ি থামান। ভূকম্পন না থামা পর্যন্ত গাড়ির ভেতরে থাকুন।

 

  • কম্পন বা ঝাঁকুনি থামলে সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত বেরিয়ে পড়ুন এবং খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিন।
]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন