গত সপ্তাহে (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুরে মিয়ানমারে পরপর দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। প্রথমে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার কয়েক মিনিট পরই ৬ দশমিক ৪ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে পুরো দেশ।
এতে প্রতিবেশী চীন, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামেও কম্পন অনুভূত হয়। এর মধ্যে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মিয়ানমারে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত সাড়ে ৪ হাজারের বেশি। নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার কাজ চলছে।
চাপা পড়া বাসিন্দাদের দিন কাটছে বেঁচে থাকা মানুষদের সাহায্যের অপেক্ষায়, আর অন্যদিকে উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তুপে খুঁজে বেড়াচ্ছেন প্রাণের সন্ধান। কখনো কয়েক ঘণ্টার চেষ্টার পর সফল হলেও বেশিরভাগ সময়ে মিলছে লাশ।
মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে সৃষ্ট বিপর্যয়ে প্রতিদিনই লম্বা হচ্ছে লাশের সারি। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৩ হাজারের বেশি। আহত সাড়ে ৪ হাজারের উপরে। তবে, স্থানীয় গণমাধ্যমের রিপোর্টে মৃতের সংখ্যা সরকারি হিসেবের চেয়ে আরও বেশি বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল জাপান
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় কার্যালয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্প ও এর পরবর্তী আফটারশকের কারণে মিয়ানমারের ৩৩০টি টাউনশিপের মধ্যে ৫৭টিতে ১ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৯০ লাখের বেশি মানুষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এখনও অব্যাহত আছে উদ্ধার অভিযান। ভারত, রাশিয়া ও বেলারুশসহ বেশ কয়েকটি দেশ মোবাইল হাসপাতাল পাঠিয়েছে। তবে প্রত্যন্ত এলাকায় মেডিকেল সহায়তা পৌঁছানো অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানায় উদ্ধারকর্মীরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বেশকিছু হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে স্বাস্থ্যসেবা পেতে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত সহায়তা বাড়াতে বলেছে।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বিধ্বস্ত মিয়ানমার পরিদর্শন করবেন জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার।
আরও পড়ুন: এবার ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পের আঘাত
]]>