ইউএসজিএসের তথ্যমতে, শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুরে ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারের সাগাইংয়ের উত্তর-পশ্চিমে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। যার গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। এর কয়েক মিনিট পরেই ৬ দশমিক ৪ মাত্রার একটি আফটারশক এবং আরও কয়েকটি ছোট ছোট কম্পন অনুভূত হয়।
এতে আঘাতপ্রাপ্ত হয় প্রতিবেশি থাইল্যান্ডও। শুধু তাই নয় ভূমিকম্পের প্রভাব অনুভূত হয়েছে পাশ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশ, চীন এবং ভিয়েতনামেও।
আরও পড়ুন:ভূমিকম্প মোকাবিলায় সক্ষমতা নেই মিয়ানমারের?
বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে এবং এটি ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের সবচেয়ে কাছের শহর।
ভূমিকম্পটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, পশ্চিমে ভারত এবং পূর্বে চীন, পাশাপাশি কম্বোডিয়া এবং লাওসের ভবনগুলোও কেঁপে ওঠে।
মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডে উদ্ধারকর্মীরা এখনও জীবিতদের খুঁজে বের করার জন্য লড়াই করছেন। তারা অনেকে খালি হাতে ধ্বংসস্তুপ খুঁড়ে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন।
এদিকে, জান্তা সরকারের আন্তর্জাতিক সহায়তার উদাত্ত আহ্বানের পর সহায়তা আসতে শুরু করেছে মিয়ানমারে। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহায়তা পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছে। ভারত এরইমধ্যে ত্রাণ পাঠিয়েছে এবং চীনা উদ্ধারকারী দল পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন:ভূমিকম্পের পর সহায়তা চাইল জান্তা সরকার, পোঁছেছে চীনা উদ্ধারকারী দল
অন্যদিকে, থাইল্যান্ডের ব্যাংককে একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবন ধসের পর সেখানে উদ্ধার অভিযান চলছে। স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের মতে, প্রায় ১০০ জন নির্মাণ শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। ভবন ধসে ছয়জন নিহত হয়েছেন সেখানে।
]]>