ভূমিকম্পে মিয়ানমার-থাইল্যান্ডে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৬০০ ছাড়াল

৩ সপ্তাহ আগে
মিয়ানমার ও প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের কিছু অংশে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সময় যতই গড়াচ্ছে, ততই স্পষ্প হচ্ছে এসব ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। শনিবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় পর্যন্ত দেশ দুটিতে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৬০০ ছাড়িয়ে গেছে।

এর মধ্যে কেবল মিয়ানমারেই মারা গেছে ১ হাজার ৬৪৪ জন। আহত হয়েছে আরও অন্তত দুই হাজার মানুষ। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) অনুমান, ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

 

ইউএসজিএসের তথ্যমতে, শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুরে ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারের সাগাইংয়ের উত্তর-পশ্চিমে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। যার গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। এর কয়েক মিনিট পরেই ৬ দশমিক ৪ মাত্রার একটি আফটারশক এবং আরও কয়েকটি ছোট ছোট কম্পন অনুভূত হয়।

 

এতে আঘাতপ্রাপ্ত হয় প্রতিবেশি থাইল্যান্ডও। শুধু তাই নয় ভূমিকম্পের প্রভাব অনুভূত হয়েছে পাশ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশ, চীন এবং ভিয়েতনামেও। বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে এবং এটি ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের সবচেয়ে কাছের শহর।

 

আরও পড়ুন: ভূমিকম্পের মধ্যেই ব্যাংককের রাস্তায় শিশুর জন্ম

 

ভূমিকম্প এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, পশ্চিমে ভারত এবং পূর্বে চীন, পাশাপাশি কম্বোডিয়া এবং লাওসের ভবনগুলোও কেঁপে ওঠে। মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডে উদ্ধারকর্মীরা এখনও জীবিতদের খুঁজে বের করার জন্য লড়াই করছেন। তারা অনেকে খালি হাতে ধ্বংসস্তুপ খুঁড়ে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন।

 

এদিকে জান্তা সরকারের আন্তর্জাতিক সহায়তার উদাত্ত আহ্বানের পর সহায়তা আসতে শুরু করেছে মিয়ানমারে। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহায়তা পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছে। ভারত এরইমধ্যে ত্রাণ পাঠিয়েছে এবং চীনা উদ্ধারকারী দল পৌঁছেছে।

 

অন্যদিকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবন ধসের পর সেখানে উদ্ধার অভিযান চলছে। স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের মতে, প্রায় ১০০ জন নির্মাণ শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। ভবন ধসে ছয়জন নিহত হয়েছেন সেখানে। 

 

আরও পড়ুন: ব্যাংককের ধসেপড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপে এখনও ১৫ জন জীবিত

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন