ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে ইসলামের আলোকে আল্লাহর সতর্কবার্তা স্মরণ করিয়ে দেয়া বার্তা। দেশের দুইজন প্রখ্যাত বক্তা ও আলেম, শায়েখ আহমাদুল্লাহ ড. মিজানুর রহমান আজহারী।
শায়েখ আহমাদুল্লাহ লেখেন,
এভাবেই এক মহাকম্পন মহাপ্রলয়ে রূপ নেবে একদিন। সেদিন সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, হে মানুষ, তোমরা তোমাদের রবকে ভয় করো। নিশ্চয় কিয়ামতের প্রকম্পন এক ভয়ংকর ব্যাপার (সূরা হাজ্জ: ১)। ভূমিকম্পের মাত্রা আরেকটু বেশি হলেই হয়তো আমাদের অনেকের জীবনের শেষ দিন হতো আজ। আজকে ভূমিকম্প অনেক বড় সতর্কবার্তা রেখে গেল আমাদের জন্য। আসুন, বিলম্ব না করে আল্লাহর দিকে সমর্পিত হই। তাওবা করি। প্রস্তুত হই।
অন্য দিকে ড. মিজানুর রহমান আজহারী লেখেন,
ভেবে দেখেছেন কি? আজ ভূমিকম্পের তীব্রতা আরো ভয়াবহ হলে খুব কম সংখ্যক মানুষের শেষ আমল হতো ফজরের নামাজ। সেই লিস্টে আপনি থাকতেন তো? উত্তর 'না' হলে, শুধরে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে এখনো। এই কম্পনে টের না পেলেও, চূড়ান্ত কম্পন কিন্তু ঠিকই টের পাইয়ে দিবে। তাই আসুন, সময় থাকতে নিজেদের শুধরে নিই।
'তোমরা কি নিশ্চিত হয়ে গেছো যে, যিনি আসমানে রয়েছেন তিনি তোমাদেরকেসহ এ জমিনকে ধ্বসিয়ে দেবেন না, অতঃপর আকস্মিকভাবে তা থর থর করে কাঁপতে থাকবে?' (সুরা আল-মুলক: ১৬)
আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কম্পনটি অনুভূত হয় ১০টা ৩৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী এলাকায়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৭, যা মধ্যম মাত্রার কম্পন হিসেবে বিবেচিত। ভূমিকম্পের কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী কম্পনে বাসাবাড়ি, অফিস ও বিভিন্ন ভবন দুলে ওঠে। অনেকে দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে নিরাপদ স্থানে অবস্থান নেন।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প কেনো হয়? কোরআন হাদিসে যা আছে
কালাচাঁদপুরের বাসিন্দা আফরোজা খানম লাকি বলেন, আমাদের বাসা ৭ তলায়। ভূমিকম্প শুরু হতেই পুরো ভবন দুলতে থাকে। জোরে শব্দ হচ্ছিল। বাসার জিনিসপত্র এলোমেলো হয়ে যায়। আমরা দ্রুত নিচে নামতে শুরু করি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঢাকা ও আশপাশের বেশ কিছু এলাকায় দালান হেলে পড়া ও দেয়ালে ফাটলের খবর পাওয়া গেছে। ভূমিকম্পে বিল্ডিংয়ের রেলিং ভেঙে পড়ে রাজধানীর বংশালে অন্তত তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
]]>
১৩ ঘন্টা আগে
৩







Bengali (BD) ·
English (US) ·