শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
রিওয়ানা বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে এত জোরে, এত শক্তিশালী ভূমিকম্প আমরা অনুভব করিনি। এটা বারবার আমাদের জন্য সতর্কবার্তা। এটাকে আমলে নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। ঢাকা শহরে খোলা জায়গা নেই।’
বর্তমানে বিল্ডিং কোড মেনে ভবন হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিন্তু যেসব ভবন আগে হয়েছে, সেগুলোর নব্বই শতাংশ ভূমিকম্প টেকসই না। আমাদের এখন থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, নতুন করে কোনো জলাশয় এবং পাহাড়ে হাত দেয়া যাবে না।’
পাহাড়ে ইটভাটা বন্ধে সরকার কাজ শুরু করেছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ দেশের একটা গোষ্ঠী কখনো আইন মানতে চায় না। পাহাড় কেটে পাহাড়ি এলাকায় ইটভাটা করা হচ্ছে। আমাদের ঝুঁকি কমানোর জন্য পরিবেশকে বাঁচাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘একটা দেশে যত বৈচিত্র্য থাকে সে দেশ ততটা সুন্দর। আমাদের দেশে যদি শুধু একটা জনগোষ্ঠী থাকতো তাহলে এত সুন্দর হতো না।’
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে হেলে পড়লো রাজধানীর বেশ কয়েকটি ভবন, ধরেছে ফাটল
দুর্যোগ মোকাবিলায় সবাইকে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়ে রিজওয়ানা বলেন, ‘অগ্নি ঝুঁকি, ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলায় তিন বছরের পরিকল্পনা নিয়ে আগানো উচিত।’
তিনি বলেন, ‘মানুষ এখন পাহাড়ি খাবার খায় ট্রেন্ড হিসেবে, ঐতিহ্য হিসেবে নয়। তবে ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হবে। বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে আদিবাসী খাবারের দোকান খোলা যেতে পারে। আদিবাসী কৃষকরা যাতে বঞ্চিত না হয়, খেয়াল রাখতে হবে।’
পাহাড়ে বিদেশি খাদ্যের দিকে বেশি ঝুঁকতে যেয়ে দেশি ফলের জন্য কম জমি বরাদ্দ যাতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখারও আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
]]>
১৪ ঘন্টা আগে
৪







Bengali (BD) ·
English (US) ·