পুলিশ ও স্বজনরা জানান, ওই ইউনিয়নের খেরবাড়ী গ্রামের একরামুল হক ও তার স্ত্রী আনু বেগমের সঙ্গে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাতে পারিবারিক কোন্দল সৃষ্টি হয়। পরে এক পর্যায়ে একরামুল তার স্ত্রীকে লাঠিসোটা দিয়ে মারতে মারতে বাড়ির বাইরে নিয়ে যান।
মারামারির এক পর্যায়ে স্বামী একরামুল বাড়িতে ফিরে আসলেও ফিরেননি ওই নারী। পরে বুধবার সকালে একরামুল তার স্ত্রীর মরদেহ বাড়ির পাশের একটি ভুট্টাক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখেন।
আরও পড়ুন: ঘরে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ, সৎ ছেলে-সতিনসহ স্বামী পলাতক
বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে সেখান থেকে একরামুলকে আটক করে থানা নিয়ে যায় পুলিশ।
এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী সরকার জানান, মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা। যেহেতেু পারিবারিক কোলহের জেরে নিহতের স্বামী একরামুল মারধর করেছিল সেই সন্দেহ থেকেই তাকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করলে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে।