ভিনির ক্ষোভটা রিয়াল মাদ্রিদ কোচ জাবি আলোনসোর প্রতি। ৭২ মিনিটে ভিনির বদলি হিসেবে রদ্রিগোকে নামানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। উঠিয়ে নেয়ার এই সিদ্ধান্তের কারণেই কোচের প্রতি ৭ নম্বর জার্সিধারীর ক্ষোভ, ভিনি আরও খেলতে চেয়েছিলেন। উঠে যাওয়ার পর ফুটবলাররা সাধারণত কোচের সঙ্গে হাই-ফাইভ বা কোলাকুলি করে থাকেন। ভিনি হাই-ফাইভ করবেন দূরের কথা, ক্ষোভের চোটে আলোনসোর দিকে তাকাননি পর্যন্ত, বেঞ্চে না বসে রগড়াতে রগড়াতে সোজা চলে যান টানেলের দিকে। পরে অবশ্য ফিরেও আসেন।
কিলিয়ান এমবাপ্পে ও জুদে বেলিংহ্যামের গোলে ২-১ ব্যবধানে এল ক্লাসিকো জেতার পর ভিনির ক্ষোভের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন আলোনসো। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ভিনির চরিত্র? প্রত্যেকটি ড্রেসিংরুমেই আলাদা আলাদা ব্যক্তিত্ব আছে। এই মুহূর্তে আমরা জয়টা উপভোগ করব। এরপর এই বিষয়ে ভিনির সঙ্গে আলোচনা করব, নিশ্চিত।’
পেদ্রির লাল কার্ড
এমবাপ্পের গোলে পর ৩৯ মিনিটে ফারমিন লোপেজের গোলে সমতায় ফিরেছিল বার্সেলোনা। এর কিছুক্ষণ পরই কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে রিয়াল মাদ্রিদ। ভিনিসিউস জুনিয়রের পায়ে বল থাকা অবস্থায় পেদ্রি পেছন দিক থেকে তার জার্সি টেনে ধরেন। ভিনিসিউস বেশ কিছুক্ষণ ধরে ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করে অবশেষে খেলা থামাতে বাধ্য হন। রেফারি পেদ্রিকে হলুদ কার্ড দেন। বার্সেলোনা মিডফিল্ডার দ্বিতীয় হলুদ কার্ডটা পান ম্যাচের একেবারে শেষের দিকে। অরেলিন চুয়ামেনিকে ফাউল করলে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
এক গোল ও এক অ্যাসিস্ট করে বেলিংহ্যাম হন ম্যাচসেরা খেলোয়াড়। ছবি: রয়টার্স
রিয়াল ফের এগিয়ে যায় ৪৩ মিনিটে। বাঁপ্রান্ত থেকে ভিনির ভাসিয়ে দেয়া বলে হেড করেন এডার মিলিটাও। গোলের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকা বেলিংহ্যাম সাবলীলভাবে জাল খুঁজে নেন। রিয়াল ব্যবধান আরও বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল বিরতি শেষে খেলা শুরু হওয়ার পরপর। ৪৮ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর এরিক গার্সিয়ার হাতে বল লাগলে অনেকক্ষণ ধরে ভার দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। এমবাপ্পের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন ভয়চেক সেজনি। সফল হলে এবারের লিগে এটা হতো ফরাসি তারকার ১২তম গোল। ১১ গোল নিয়ে এখন অবশ্য সবার শীর্ষে তিনিই, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬টি গোল আছে হুলিয়ান আলভারেজের।
খেলোয়াড়দের বিবাদে জড়ানো
দুই পক্ষের বিপরীতমুখী মন্তব্যে এল ক্লাসিকো ঘিরে আগে থেকেই উত্তেজনা ছিল। ম্যাচ শেষে দেখা গেল দৃষ্টিকটু ঘটনা। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই হাতাহাতিতে জড়ান দুই দলের খেলোয়াড়রা। টাচলাইনে ভিনি ও আলেহান্দ্রো বালদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়, তাতে জড়ান অন্যরাও। রাফিনহা ও রুডিগারের মধ্যে চলে কথা কাটাকাটি। দুজনের কেউই এ ম্যাচে খেলেননি।
আরও পড়ুন: আরও গোলের জন্য ক্ষুধার্ত ৯৫০ গোল করা রোনালদো
চোখ রাঙানি ও কথা কাটাকাটি হয়েছে থিবো কর্তোয়া ও লামিন ইয়ামালের মধ্যেও। এই ঝগড়া থামাতে রিয়াল মাদ্রিদের কোচ এগিয়ে আসেন, বার্সেলোনার স্টাফরাও হস্তক্ষেপ করেন। হ্যান্সি ফ্লিক ছিলেন ড্রেসিংরুমে। জিরোনার বিপক্ষে লাল কার্ড দেখায় এ ম্যাচের ডাগআউটে দাঁড়াতে পারেননি তিনি।

৩ সপ্তাহ আগে
৯







Bengali (BD) ·
English (US) ·