ভারী বর্ষণে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, সরবরাহ কমায় বাজারে বেড়েছে দাম

৩ সপ্তাহ আগে
ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে গত কয়েকদিন রাজশাহী ও এর পার্শ্ববর্তী জেলায় ভারী বর্ষণের ফলে অন্তত হাজার খানেক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে জেলার পাইকারি ও খুচরা বাজারে মাছের সরবরাহ কমার পাশাপাশি চাহিদা বেশি থাকায় মাছের দাম বেড়েছে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) নগরীর আম চত্বর মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের কেজি প্রতি দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।

 

পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়, কাতলা ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা, মৃগেল ২৩৫ থেকে ২৪০ টাকা, কালবাউশ ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, সিলভার কার্প ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, বাটা ২০০ থেকে ২১০ টাকা, তেলাপিয়া ও মনোসেক্স ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা, সরপুঁটি ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা এবং দেশি পুঁটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

আড়তদাররা বলছেন, খুচরা বাজারে দাম আরও কিছুটা বেশি। আগামী দুই সপ্তাহ পর্যন্ত দাম বাড়ার এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।

 

আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা শেষে খুলনার বাজারে উঠেছে ইলিশ, দাম কেমন?

 

মাছ ব্যবসায়ী কাইয়ুম বলেন, শীতের শুরুতে নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত নদী, নালা ও খালের মাছ বাজারে আসে। ফলে চাষের মাছের দাম কিছুটা কমে যায়। তবে ঘূর্ণিঝড়জনিত বৃষ্টি ও আবহাওয়া প্রভাবের কারণে বাজারে মাছ কমে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।

 

পুকুর মাছ চাষি রহমত আলী বলেন, গোদাগাড়ি ও তানোর এলাকায় এক রাতের বৃষ্টিতে শত শত পুকুর ভেসে গেছে। পানিতে টইটম্বুর থাকার কারণে জাল দিয়ে মাছ ধরা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বাজারে মাছ কমে গেছে।

 

উল্লেখ্য, রাজশাহীর নওদাপাড়া বাজারে জেলা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে মাছ আসে। এখান থেকে ব্যবসায়ীরা মাছ কিনে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করে। প্রতিদিন সকালে এখানে অন্তত ৫০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হয়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন