বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) আমার বাংলাদেশ যুব পার্টির উদ্যোগে ভারতের মিডিয়ায় ধারাবাহিক মিথ্যাচারের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব সমাবেশে বক্তৃতা করেন তিনি।
যুব পার্টির আহ্বায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুলের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব হাদিউজ্জামান খোকনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ভারত সরকার হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। হাসিনার শাসন আমলে বিশ্বজিতকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা এবং এ দেশের একমাত্র হিন্দু বিচারক সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করে দেশ থেকে বিতাড়িত করলেও ভারত সরকার কোনো কথা বলেনি। তারা মূলত মুখে হিন্দু প্রেমের কথা বললেও তাদের অন্তরে আওয়ামী লীগ প্রেম ছাড়া কিছুই নেই।
এবি পার্টির সদস্যসচিব বলেন, বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় কিংবা বাংলাদেশের জনগণের সম্মান রক্ষায় ভারত কখনো মনোযোগী হয়নি। তারা আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের ওপর একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তারই তার লক্ষ্য ছিল।
আরও পড়ুন: দেশ সংস্কারে যত দেরি হবে আস্থাহীনতা বাড়বে: মজিবুর রহমান মঞ্জু
বিশেষ অতিথির বক্তব্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল দিদারুল আলম পিএসসি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়, তবে কারোর ইশারায় আমাদের শান্তি নষ্টের পাঁয়তারা করা যাবে না। আমরা রুখে দাঁড়াতে জানি। ভারত সরকার যদি মিডিয়ার নৈরাজ্যের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়, তাহলে এটা হবে ভারত সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।’
বিশেষ অতিথি আলতাফ হোসাইন বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর ভারত যেভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়েছে সেটি খুবই দুঃখজনক। ভারত সরকারের উচিত বাংলাদেশের মানুষের সাথে সম্পর্ক করা, কোনো দলের সাথে বা ব্যক্তির সাথে নয়।
বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন: মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুর রব জামিল, কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্যসচিব আব্দুর রহমান, সফিউল বাসার, এবি যুব পার্টির দফতর সম্পাদক আমানুল্লাহ সরকার রাসেল, যুগ্ম সদস্যসচিব তোফাজ্জেল হোসেন রমিজ প্রমুখ।