ভারতের রাষ্ট্রদূতকে তলবের বিষয়ে যা বলল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

৩ সপ্তাহ আগে
বাংলাদেশ-ভারতে সীমান্তে বিএসএফের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ নিয়ে দেশটির হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার কাছে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে প্রণয় ভার্মার কাছে এই উদ্বেগের কথা জানান পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন।

 

রাত ৮টার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তৌফিক হাসান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্র সচিব জোর দিয়ে বলেন এই ধরনের কার্যকলাপ, বিশেষ করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের অননুমোদিত প্রচেষ্টা এবং বিএসএফের সংশ্লিষ্ট অপারেশনাল পদক্ষেপ সীমান্তে উত্তেজনা ও ঝামেলা সৃষ্টি করেছে। যথাযথ অনুমোদন ছাড়া কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের চেতনাকে ক্ষুণ্ন করেছে।


এছাড়াও সম্প্রতি সুনামগঞ্জে বিএসএফ কর্তৃক একজন বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যার বিষয়টি উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব সীমান্তে হত্যার পুনরাবৃত্তি নিয়ে গভীর উদ্বেগ এবং হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান। এবং ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে এবং এই সমস্ত সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত পরিচালনা এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।


পররাষ্ট্র সচিব ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে সীমান্ত হত্যা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এটি একটি উদ্বেগের বিষয় যে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বারবার প্রাণঘাতী কৌশল এবং হত্যা বন্ধ করার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরও এই ধরনের হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে।


দুদেশের সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে পারে এমন কোনো উসকানিমূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার জন্য ভারতের সকল কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান সচিব।


আরও পড়ুন: কাঁটাতারের বেড়া: ভারতের হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব


এর আগে বিকেলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) অবৈধভাবে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ঘিরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমাশনার প্রণয় ভার্মাকে জরুরি তলব করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদিন বিকেল বিকেল ৩টায় প্রণয় ভর্মা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত হন।


এর আগে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘কোনো বিরূপ ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতীয় হাইকমিশনকে বিষয়টি জানানো হবে।’


স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিগত সরকারের সময়ে ভারত সীমান্তের কিছু এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের সুযোগ পেয়েছে। বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে ৪ হাজার ১৫৬ কিলোমিটার সীমান্তের ৩ হাজার ২৭১ কিলোমিটার সীমান্তে ভারত কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কাজ শেষ করেছে। বাকি ৮৮৫ কিলোমিটার সীমান্তে ভারত কাঁটাতারের নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।’


ভারতের একতরফা সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, সম্প্রতি ভারত লালমনিরহাটে তিন বিঘা করিডোর, ফেনী, কুমিল্লা, কুষ্টিয়া ও নওগাঁর পত্নীতলায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু দুদেশের  চুক্তি অনুসারে যেকোনো স্থানে এ ধরনের উন্নয়ন কাজ করতে হলে দুদেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে করতে হবে। কিন্তু ভারত সেটি করেনি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন