তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু বুধবার (১৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদন মতে, ‘দ্য ইউএস-চায়না ইকোনমিক অ্যান্ড সিকিউরিটি রিভিউ কমিশন ২০২৫’ নামের একটি কমিশন কংগ্রেসে একটি রিপোর্ট রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
বার্ষিক ওই রিপোর্টে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পর্যালোচনা এবং এতে চীনের ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, মে মাসের চারদিনের যুদ্ধ ছিল ভারত-পাকিস্তানের গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র লড়াই।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সংঘাতে চীনের সরবরাহ করা অস্ত্রের সহায়তায় সামরিক সফলতা অর্জন করে পাকিস্তান। রিপোর্টে বলা হয়, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের ৮২ শতাংশ অস্ত্র সরবরাহ করেছে চীন এবং ২০২৫ সালে সামরিক সহযোগিতা আরও বিস্তৃত করেছে।
এদিকে ভারতের বিরুদ্ধে আবারও পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। এমন পরিস্থিতির জন্য ইসলামাবাদ পূর্ণ সতর্ক অবস্থায় আছে বলেও দাবি করেন তিনি। আসিফ এও দাবি করেন, আফগানিস্তান-পাকিস্তান নিজেদের সমস্যার সমাধান করুক এমনটা চায় না ভারত।
আরও পড়ুন: ভারতীয় বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ালো পাকিস্তান
ভারত-পাকিস্তান বৈরিতা দিন দিন আরও তিক্ত রুপ নিচ্ছে। আর এরমধ্যেই যুক্ত হয়েছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা। ইসলামাবাদ বারবার দাবি করে আসছে যে, নয়াদিল্লির নির্দেশনায় কাবুল সীমান্তযুদ্ধে জড়িয়েছে।
সামা টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ আবারও দাবি করেন যে, ভারত চায় না পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সীমান্ত সংঘাতের সমাধান হোক। এছাড়া তিনি শংকা প্রকাশ করেন, পাকিস্তান এখন দুই ফ্রন্ট থেকে হামলার শিকার হতে পারে। আসিফ বলেন, আফগানিস্তান পাকিস্তানের উত্তেজনার পেছনে রয়েছে ভারতের উসকানি।
খাজা আসিফ আরও দাবি করেন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, চীন এবং অন্যান্য রাষ্ট্র চায় পাকিস্তানে অনুপ্রবেশ বন্ধ হোক। আফগানিস্তান সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে বলেও অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: ‘যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত’, ভারতীয় সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি
ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক মন্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, পাকিস্তান কোনোভাবেই ভারতকে বিশ্বাস করতে পারে না। ভারত আবারও সীমান্ত পেরিয়ে আক্রমণের চেষ্টা করতে পারে।
গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান (সিওএএস) জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপ এবং প্রতিরক্ষা ক্ষমতা ভারতকে অপারেশন সিন্দুরের মাধ্যমে পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দেয়ার সুযোগ করে দেয়।
]]>
৬ দিন আগে
৪






Bengali (BD) ·
English (US) ·