শিলংয়ের তীব্র শীতের মাঝে ভারী বৃষ্টি। ঠান্ডায় হাত পা জমে যাওযার মতো অবস্থা। এরমাঝেই শুরু ভারত ম্যাচের প্রস্তুতি। বৈরি আবহাওয়ায় অনুশীলন বাতিলের শঙ্কা থাকলেও নিরধারিত সময়ে মাঠে হাজির লাল সবুজ। ম্যাচ ভেন্যুতে অনুশীলনের সুযোগ না মেলায় শিলং স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের এই আরটিফিশিয়াল টারফই ভরসা।
কদিন আগে সৌদি আরবের তায়েফে ঠিক এমন ঠান্ডা ও বৃষ্টির মাঝেই কন্ডিশনিং ক্যাম্প করে এসেছে বাংলাদেশ। তবে সে সময় দলের সঙ্গে ছিলেন না হামজা। শেফিল্ড তারকার দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চাই প্রস্তুতির সুযেগ। তবে সেটাই বা অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের গড়িমসিতে মিলছে কই?
অযুহাত নয়, প্রতিকূলতা জয় করতে চায় বাংলাদেশ। ২০২৪ সালে খেলা আট ম্যাচে মাত্র তিনবার প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে পেরেছিলেন বাংলার ফরোয়ার্ডরা। ভারত ম্যাচে কাবরেরার সে দুশ্চিন্তা লাঘব করতে চান ফরোয়ার্ড ইব্রাহীম। একাদশে জায়গা করে নেয়া কঠিন, তবে সেটা জেনেই চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন এই ফরোয়ার্ড।
আরও পড়ুন: হাইভোল্টেজ ম্যাচে রাতে মাঠে নামছে বড় ১০ দল
‘দলের সবার অবস্থা ভালো। অনেকদিন পরে জাতীয় দলে ফিরেছি। সেরা একাদশে থাকতে পারলে অবশ্যই ভালো লাগবে। বদলি হিসেবেও যদি নামি চেষ্টা করব দলে ইম্প্যাক্ট রাখার। আসলে সব জায়গায় প্রতিযোগিতা থাকবে, সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই এতদূর আসা, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা যদি খেলতে পারি।’
ইব্রাহিম আরও বলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে সল্টলেকে যে ম্যাচটা হয়েছিল ২০১৯ সালে, আমি সেই ম্যাচেও ছিলাম। এবারও দলের সঙ্গে আছি। ব্যক্তিগত লক্ষ্য হলো সেবার গোল করতে পারিনি, আশা করি এবার গোল করে নিজেকে আত্মতৃপ্তি দেব।’
‘আসলে গোল করাটা পুরোপুরি টিম ওয়ার্কের ওপর নির্ভর করে। সুযোগ পেলে সবাই গোল করার চেষ্টা করবে। আমাদের প্রথম লক্ষ্য থাকবে যে, ভালো করা, কোচ যে পরিকল্পনা করছেন সেটা নিয়ে কাজ করতে পারছি কি না।’
গেলো কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে জয়ের চেয়ে গোল হজম না করার দিকেই বেশি মনোযোগ ছিলো বাংলাদেশ দলের। হামজার ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া লাল সবুজ সে ধারা ভাংতে চায় এবার। সুনীল ছেত্রীর ফেরাকে জয় উৎসবে রাঙাতে দিতে চা না তপু। উল্টো ঘরোয়া লিগের পারফরম্যান্সের আত্মবিশ্বাসে জয়ে চোখ তার।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পে ভবিষ্যতে বেশ কয়েকটি ব্যালন ডি'অর জিতবেন: মদ্রিচ
‘দেখেন অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছি ভারতের সঙ্গে। তবে এইবারের ম্যাচ ভিন্ন। দেখেন কতটা হাইপ উঠেছে এই ম্যাচ ঘিরে। বাংলাদেশের সকলে তাকিয়ে আছে এই ম্যাচের দিকে। বিগ রেসপনসিবিলিটি থাকবে আমার ওপর। আমার চেষ্টা থাকবে গোল হজম না করা। তার সঙ্গে দলকে বুস্টআপ করা। আমার টার্গেট থাকবে আমার সঙ্গে যে তিনজন থাকবে, তাদের সঙ্গে নিয়ে একটা ভালো ফাইট দিতে পারা এবং গোল হজম না করা।’
বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার আরও বলেন, ‘ভারত দল ওভারঅল সবসময়ই ভালো হয়। যারা এসেছে তারা সকলেই আইএসএল খেলে এসেছে। এছাড়া যারা বদলি খেলোয়াড় এসেছেন তারাও খুবই ভালো। যদি সুনিল ছেত্রীর কথা বলি সে যখন থেকে অবসর নিয়েছে তারপর থেকে ভারত আর ম্যাচ জেতেনি। আমরা বুঝতেই পারছি সুনিল ছেত্রীর ইমপ্যাক্ট কতটা। সে আসার পর আবার ভারত ম্যাচ জিতেছে। আমাদের সুনিলকে নিয়ে বাড়তি পরিকল্পনা রাখতেই হবে।’
ভারত সেটপিসে অনেক ভালো। সবশেষ মালদ্বীপের বিপক্ষে ভারত ৩টা গোল করেছিলো, সেই তিনটাই সেটপিস থেকে। সেটপিসের দুর্বলতা কাটাতে অনুশীলনে বাড়তি জোর দিচ্ছেন কোচ হাভিয়ার কাবরেরা।