ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ (এফডিএ) সম্প্রতি এ নিয়ে একটি সতর্কীকরণ চিঠি ইস্যু করেছে।
এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হঠাৎ এই নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে বাজারে সংশ্লিষ্ট ওষুধের ঘাটতি দেখা দেয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় চারটি ওষুধের ক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে আমদানির অনুমোদন দিয়েছে এফডিএ।
ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে অবস্থিত ভিয়াট্রিসের ওষুধ প্রস্তুতকারী কারখানা পরিদর্শন করেছিলেন মার্কিন কর্মকর্তারা। পরিদর্শনের সময় দেখা গেছে, মার্কিন নিয়ম মেনে ওষুধ তৈরি হচ্ছে না। তবে ঠিক কোন নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: আবারও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পাকিস্তান!
এদিকে ভিয়াট্রিসের পক্ষে জানানো হয়েছে, ইন্দোরের কারখানায় তৈরি হওয়া ওষুধ নিয়ে সতর্কীকরণ চিঠি ইস্যু করেছে ইউএস এফডিএ। এ নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
ভিয়াট্রিসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যতদিন না ওই ১১টি ওষুধের ক্ষেত্রে ইস্যু হওয়া সতর্কীকরণ চিঠি এফডিএ-র পক্ষ থেকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে , ততদিন সেই ওষুধগুলো আমেরিকায় আমদানি করা যাবে না।
তবে, কোন ১১টি ওষুধ নিয়ে এফডিএ এই সতর্কীকরণ চিঠি ইস্যু করেছে, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।
আরও পড়ুন: রাশিয়াকে সহায়তা করে বিপদে ভারত, এলো মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
ভিয়াট্রিস জানিয়েছে, এফডিএ-র ইস্যু করা চিঠির জবাব এরমধ্যেই তারা দিয়েছেন। এর পাশাপাশি ইন্দোরের কারখানায় তারা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। নিয়ম যাতে লঙ্ঘিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে একটি তৃতীয়পক্ষের সংস্থাকেও নিয়োগ করেছে ভিয়াট্রিস।
মাইলান এবং ফাইজারের অধীনে থাকা একটি সংস্থার সমন্বয়ে ২০২০ সালে এই ভিয়াট্রিসের জন্ম। ভারতের ৪টি জায়গায় ওষুধ তৈরি করে তারা। বিভিন্ন অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, ডায়েবেটিক, কার্ডিওভাস্কুলার থেরাপি সংক্রান্ত ওষুধ তৈরি করে সংস্থাটি।
]]>