স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্যানুসারে, ‘এমএসসি এলসা ৩’ নামে ১৮৪ মিটার দীর্ঘ ওই জাহাজটি গত শুক্রবার বিঝিনজাম বন্দর থেকে কোচির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু, কেরালা উপকূলে পৌঁছানোর পর সেটি প্রায় ২৬ ডিগ্রি কোণে একদিকে হেলে পড়ে। আপৎকালীন সাহায্য চেয়ে ভারতীয় নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর দ্বারস্থ হন জাহাজে থাকা নাবিকরা।
ভারতীয় কোস্ট গার্ডের ইন্সপেক্টর জেনারেল (পশ্চিমাঞ্চল) বিশম শর্মা জানান, তারা ভেবেছিলেন জাহাজটি স্থির হয়ে থাকবে। কিন্তু ভেতরে পানি ঢুকে যাওয়ায় সেটি ডুবে যায়।
তিনি আরও জানান, ওই জাহাজের সব নাবিক নিরাপদে আছেন এবং ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে।
বিশম আরও জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাগ্রস্ত জাহাজের কন্টেইনারগুলো ভেসে বেড়াচ্ছে এবং তাতে অন্যান্য জাহাজের বড় বিপদ হতে পারে। আবার সেগুলো উপকূলের দিকেও ভেসে আসতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন /ভারত থেকে জাহাজ কেনার চুক্তি বাতিল করলো বাংলাদেশ
জানা গেছে, ওই জাহাজে থাকা ৬৪০টি কন্টেইনারের মধ্যে ১৩টিতে ‘বিপজ্জনক পণ্য’ ছিল। ১২টি কন্টেইনারে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ছিল। এছাড়াও জাহাজের ট্যাঙ্কে জ্বালানি হিসেবে প্রায় ৮৪.৪৪ মেট্রিক টন ডিজেল ছিল।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই দুর্ঘটনার ফলে যদি কোনো কন্টেইনার লিক হয়ে যায়, তাহলে সমুদ্রের ওই অংশে বিপজ্জনক পদার্থ ছড়িয়ে পড়তে পারে। জাহাজের জ্বালানির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
কেরালার রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে সতর্ক করে বলেছে, তারা যাতে পণ্যবাহী ভাসমান কন্টেইনারগুলো, কিংবা তা থেকে কোনো পদার্থ ছড়িয়ে পড়লে, অথবা দুর্ঘটনাগ্রস্ত জাহাজটির জ্বালানি পানিতে ভাসতে শুরু করলে, তা স্পর্শ না করেন।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস