নগর পুড়লে এড়ায় না দেবালয়। চারিদিকে যখন যুদ্ধের দামামা তার আঁচ লেগেছে ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটেও। ২২ গজে যেখানে আহ্বান মৈত্রীর, উল্টো সেখানেই কথার লড়াই। পেহেলগামে হামলার পর পাল্টা-পাল্টি হুমকি, উতপ্ত পরিবেশ। যার দরুণ শঙ্কার মুখে মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট এশিয়া কাপ।
পূর্বের সূচি অনুসারে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এশিয়া কাপ। শুরুতে যার স্বাগতিক ছিল ভারত। তবে আগেই বিসিসিআই জানিয়েছিল ভারতের মাটিতে হচ্ছে না এশিয়া কাপ। সম্ভাব্য ভেন্যু আরব আমিরাত কিংবা শ্রীলঙ্কা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বিশেষ প্রস্তুতিতে, যে টুর্নামেন্টেই দৃষ্টি ছিল দলগুলোর। কিন্তু সবই এখন যেন দূরের বাতিঘর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিসিআইয়ের এক পরিচালকের বরাত দিয়ে ভারতের দেশ একাধিক গণমাধ্যমের দাবি, উদ্ভূত পরিস্থিততে স্থগিত হচ্ছে এশিয়া কাপ। তবে সেই কর্মকর্তা এও জানান, এই ইস্যুতে মন্তব্য করার সময় আসেনি এখনো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিসিআই কর্মকর্তা বলেন, ‘এ মুহূর্তে এশিয়া কাপ সম্পর্কে মন্তব্য করার মতো পরিস্থিত হয়নি। তবে আমরা সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে যথাযথ সিদ্ধান্তই নেবে। আমরা বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত। সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: আবরারের সেঞ্চুরিতে ১৪৬ রানের জয় বাংলাদেশের
তবে ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটাররা দিচ্ছেন ভিন্ন পরামর্শ। সুনীল গাভাস্কার এশিয়া কাপ বাতিলের বিপক্ষে। তিনি বলছেন টুর্নামেন্টটি সময় মতোই আয়োজন করা উচিত, তবে সেটা পাকিস্তানকে বাইরে রেখেই। তবে বাস্তবতায়, ধোপে টিকবে না সেই মত। অবশ্য ওয়েট এন্ড সি, এই নীতিতেই আপাতত পিসিবি। এই ইস্যুতে কোনো মন্তব্য করছে না তারা।
এসিসির এবং বোর্ডগুলোর লভ্যাংশের বড় একটা অংশ আসে এশিয়া কাপ থেকে। এই টুর্নামেন্ট বাতিল হলে টান পড়বে এসিসির কোষাগারে। কারণ ব্রডকাস্টটারদের কাছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই ভিন্ন আবেদন।
আরও পড়ুন: ড্রাগ পজিটিভ আসায় নিষিদ্ধ রাবাদা
পূর্বের সূচি অনুসারে এবারের এশিয়া কাপে অংশ নেবে ৮ দল। যেখানে এ গ্রুপে ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গী আমিরাত আর হংকং। আর গ্রুপ বি’তে বাংলাদেশ লড়বে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান আর ওমানের বিপক্ষে।
]]>