হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, ‘দেশের বাজারে চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার শুল্ক ফ্রিতে চাল আমদানি অনুমতি দিলে গত বছর ১১ নভেম্বর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমরা চাল আমদানি শুরু করি। প্রথম পর্যায়ের চাল আমদানির মেয়াদ ৬ এপ্রিল শেষ হলে ওইদিনই দ্বিতীয় পর্যায়ে আমদানির মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত নির্ধারণ করে সরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘সে মেয়াদও আর মাত্র তিন দিন বাকি থাকলেও ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশ প্রবেশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন দুই শতাধিক চালবোঝাই ট্রাক। তবে গত ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ সরকারি ছুটি হওয়ার দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।’
আরও পড়ুন: ভারত থেকে এলো আরও ৩৬ হাজার টন চাল
এদিকে বাংলা হিলি সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘ভারতীয় রফতানিকারক ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশটির অভ্যন্তরে যে পরিমাণ চালবোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। সেগুলো এত অল্প সময়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা সম্ভব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাকগুলো ১৫ এপ্রিলের মধ্যে বাংলাদেশে প্রবেশ না করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আমদানিকারকরা। এইসব কথা চিন্তা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে অনুমতি নিয়ে ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বাণিজ্য সচল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
হিলি স্থলবন্দর ও কাস্টমসের তথ্যমতে, গত বছরের ১১ নভেম্বর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চালের আমদানি শুরু হয়। আজ ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতীয় ৬ হাজার ৫৫ ট্রাকে দুই লাখ ৫৩ হাজার ২৭০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে।