রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে কমলগঞ্জ উপজেলার কুরমা চা বাগান মাঠে মৌলভীবাজার জেলা জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজনে চা শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মনু ধলাই ভ্যালির সভাপতি ধনু বাউরির সভাপতিত্বে এ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম দাস, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারওয়ার তুষারসহ চা শ্রমিক নেতারা।
সারজিস আলম বলেন, ‘ভারতের ওপর বাংলাদেশ এখনও অনেক কিছুতে নির্ভরশীল। এতদিন ধরে এটি বাধ্যতামূলকভাবে করে রাখা হয়েছিল। তাদের সাথে শেখ হাসিনা বৈষম্যমূলক চুক্তি করেছিল।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত: সারজিস আলম
সারজিস আলম চা শিল্প নিয়ে ভারতের চক্রান্তের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘দূরবর্তী স্থানের নিলাম কেন্দ্রগুলো তাদের (ভারত) চা বিক্রি না করে তারা অল্প রাস্তা পার করে নিম্নমানের চা বাংলাদেশে পাচার করতে চায়। চা বাগানে আপনাদের প্রতি কেউ যদি কোনো জুলুম করে সেটার বিরুদ্ধে যেমন গলা ফাটিয়ে আমরা কথা বলব। তেমনি একটা জিনিস মনে রাখবেন, দেশ ও দেশের বাইরে থেকে কোনো চক্রান্ত হলে আপনারাও কথা বলবেন। কারণ এ চা বাগান যদি না থাকে তাহলে এ বাগানের ওপর নির্ভরশীল লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান কিন্তু সম্ভব নয়।’
চা বাগানে মদপট্টি থাকার বিষয়টা চক্রান্ত বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা চায় শ্রমিকদের মদ খাইয়ে মাতাল করে রাখতে পারলে তাদের মনোযোগ চিন্তা ভাবনা বৈষম্যবিরোধী থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে। এতে করে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। এখন এই পরিকল্পনাই চলছে।
আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তৈরি হবে জুলাই ঘোষণাপত্র: সারজিস আলম
তিনি চা শ্রমিক সন্তানদের লেখাপড়া করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে।
সমাবেশের আগে চা শ্রমিকদের দশ দফা দাবি দাওয়া সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জাতীয় নাগরিক কমিটির হাতে তুলে দেয়া হয়।