নিহত রাধানাথ ওই গ্রামের মৃত কার্ত্তিক চন্দ্র দাসের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বড় ভাই নৃপেন চন্দ্র দাস ওরফে খলসা ও নিহত ছোট ভাই রাধানাথের সাথে পৈত্রিক বসতভিটা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। বিবাদমান জমিতে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বড় ভাই খলসা বাড়ির সীমানা ঘেঁষে টয়লেট স্থাপন শুরু করে। এ সময় নিহত রাধানাথ টয়লেট স্থাপনে বাধা দিলে দুই ভাইয়ের মধ্যে তুমুল বাগবিতন্ডা হয়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধার আলোচিত শহিদুল হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার ২
শুক্রবার দুপুরে রাধানাথ বাড়ির সামনে ছাগলকে ঘাস খাওয়াতে যায়। গতকালের জের ধরে বড় ভাই খলিসা ও তার দুই ছেলে ঠাকুর ও সত্যন্দ্রনাথ ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে রাধানাথ কে জখম করে। আশেপাশের লোকজন তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় পাঁচ মাসে ২৭টি হত্যাকাণ্ড, আতঙ্কে জনজীবন
সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজ উদ্দিন খন্দকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাধানাথের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের ছেলে সুমন চন্দ্র দাস বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
]]>