ব্ল্যাকবক্স পাঠানো হলো যুক্তরাষ্ট্রে, নিহতদের পরিচয় শনাক্ত

১ সপ্তাহে আগে
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ব্ল্যাকবক্স পাঠানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে ডেটা রেকর্ডারের তথ্য বিশ্লেষণের জন্য যৌথ তদন্তের অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এদিকে, ভয়াবহ দুর্ঘটনার ৩ দিন পর নিহত ১৭৯ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে।

স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার ৩ দিন পার হলেও এখনো শোকে স্তব্ধ দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটিতে ম্লান হয়ে গেছে খ্রিষ্টীয় বর্ষবরণের উৎসবও। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনার কারণ জানতে এখনো চলছে তদন্ত।

 

ফ্লাইটটির তথ্য বিশ্লেষণে উদ্ধার হওয়া ব্ল্যাকবক্স পাঠানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। কারণ হিসেবে বেসামরিক বিমান পরিবহন-বিষয়ক উপমন্ত্রী জু জং ওয়ান জানিয়েছেন, অবতরণের আগ মুহূর্তে কী ঘটেছিল তা জানা প্রয়োজন। এছাড়া, এ পদক্ষেপের মাধ্যমে দুর্ঘটনার সঠিক তদন্তের বিষয়টিও নিশ্চিত হবে।

 

তিনি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে। অস্থায়ী অফিসও খোলা হয়েছে। তদন্তের অংশ হিসেবে ব্ল্যাকবক্সের অডিও ফাইল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে বিষয়টি দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য জটিল হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য নেয়া হয়েছে। মার্কিন ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট সেফটি বোর্ড-এনটিএসবি এ বিষয়ে সহযোগিতা করবে। 

 

আরও পড়ুন: বিমান বিধ্বস্তে ১৭৯ প্রাণহানি /দক্ষিণ কোরিয়ার কোথাও হয়নি নতুন বছরের উদ্‌যাপন

 

এদিকে, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তিনদিন পর নিহত ১৭৯ জনের পরিচয় প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। এরইমধ্যে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট। 

 

গত রোববার সিউল থেকে ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেজু এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ জরুরি অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। ১৮১ আরোহীর মধ্যে দুই ক্রু বেঁচে গেলেও, বাকিরা নিহত হন। 

 

বিমানের পাখায় পাখি ঢুকে পড়ায় ল্যান্ডিং গিয়ারের ত্রুটি থেকে দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

 

দক্ষিণ কোরিয়ায় গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের এ ঘটনায় এক সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন