ব্রয়লার দোকানে ড্রেসিং করা মুরগি কি খাওয়া যাবে?

২ সপ্তাহ আগে
ইসলামের প্রতিটি বিধি-বিধান মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রকে পবিত্র ও নিরাপদ রাখতে উৎসর্গীকৃত। খাদ্য ও পানীয়ের বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত, পশু-পাখি জবাই ও প্রসেসিংয়ের ক্ষেত্রে শরীয়তসম্মত নিয়ম মেনে চলা অপরিহার্য।

বর্তমানে বাজারে মুরগি ড্রেসিংয়ের সময় যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, তা নিয়ে অনেক মুসলমানের মনে দ্বিধা দেখা দেয়—বিশেষত, মুরগিকে রক্তমিশ্রিত গরম পানিতে ডুবিয়ে চামড়া আলগা করার প্রসঙ্গে। এর ফলে মুরগির চামড়ার ভেতরে নাপাক পানি প্রবেশের শঙ্কা তৈরি হয়। তাই এ ধরনের মুরগি খাওয়া বৈধ কি না, তা নিয়ে ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে স্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রয়োজন।

 

এ আলোচনায় আমরা বাজারে ড্রেসিং করা মুরগির বৈধতা, নাপাক পানির হুকুম, এবং মুরগির গোশত হালাল হওয়া বা না হওয়া প্রসঙ্গে শরিয়তসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করব।

 

বাজারে যে সাধারণ পদ্ধতিতে মুরগি ড্রেসিং করা হয়, তখন মুরগিকে রক্তমিশ্রিত ফুটন্ত পানিতে ডুবিয়ে তারপর মেশিনে দেয়া হয়। উক্ত লাল পানি মুরগির চামড়ার ভেতর ঢুকে।

 

আরও পড়ুন: সবচেয়ে ভয়াবহ কবিরা গুনাহ

 

প্রশ্ন হল, এর কারণে ঐ মুরগি খাওয়া কি জায়েজ হবে? এবং উক্ত পানি কি নাপাক পানির হুকুমে হবে?

 

বাজারে ড্রেসিংয়ের জন্য মুরগিকে যে পানিতে ভেজানো হয় তা সাধারণত প্রবাহিত রক্ত মিশ্রিত হওয়ার কারণে নাপাক থাকে। তাই বাড়িতে এনে ঐ মুরগির চামড়া ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।

 

তবে রক্তমিশ্রিত গরম পানিতে যেহেতু সামান্য সময়ই মুরগি রাখা হয়, তাই ঐ নাপাক পানির কারণে মুরগিটির গোশত হারাম হয়ে যায় না। শরিয়তসম্মতভাবে জবাই হয়ে থাকলে এ ধরনের মুরগির গোশত খাওয়া নিঃসন্দেহে হালাল।

 

যদি কারো দ্বারা নিজ বাড়িতে এনে মুরগি জবাই, ড্রেসিং ইত্যাদি করা সম্ভব হয়, তবে তা করাই উত্তম হবে। (ফাতহুল কাদির ১/১৮৬, আলবাহরুর রায়েক ১/২৩৯; হাশিয়াতুত তাহতাবি আলাল মারাকি, পৃ. ৮৬, রদ্দুল মুহতার ১/২১১, ৩৩৪)

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন