সোমবার (১০ নভেম্বর) ভোরে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের খোসকান্দি গ্রামে অভিযান চালিয়ে রিফাতকে গ্রেফতার করে র্যাব-৯ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ সিপিসির সদস্যরা। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে থোল্লাকান্দি গ্রামে অভিযান চালিয়ে সহযোগী লিমানকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিন বিকেলে র্যাবের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ সিপিসির কোম্পানি কমান্ডার নূরনবী।
তিনি বলেন, ‘নবীনগরের বড়িকান্দি ইউনিয়নের গণি শাহ মাজারের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রিফাত বাহিনী ও শিপন বাহিনীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। গত ১ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে শিপন বাহিনীর প্রধান শিপন মাজারসংলগ্ন একটি রেস্তোরাঁয় খাবার খাচ্ছিলেন। এ সময় রিফাত ও তার সহযোগীরা হামলা চালালে ঘটনাস্থলেই তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে পাল্টা হামলায় রিফাত বাহিনীর সদস্য এমরান মাস্টারও গুলিবিদ্ধ হন।’
আরও পড়ুন: আখাউড়ায় সিগন্যাল পোস্টের তার চুরি, ট্রেন চলাচল বিঘ্ন
ঘটনার পরদিন শিপন বাহিনীর প্রধান শিপন মারা যান। এর একদিন পর হাসপাতালে মারা যান গুলিবিদ্ধ ইয়াছিন নামে আরেকজন।
র্যাব জানায়, ঘটনার পর নবীনগর থানায় একটি মামলা হয়। এরপর থেকে র্যাব ওই এলাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় রিফাতকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়।
র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার নূরনবী আরও বলেন, ‘রিফাতের নামে ছয়টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ডাকাতি, হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা অন্তর্ভুক্ত। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
]]>
২ সপ্তাহ আগে
৬






Bengali (BD) ·
English (US) ·