রোববার (৪ মে) দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার শোকবাণী দিয়েছেন।
যুক্ত শোকবাণীতে তারা বলেন, ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের ইন্তিকালে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি অত্যন্ত সুনামের সাথে প্রতিটি দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি তার দীর্ঘ কর্মজীবনে পেশাদারিত্ব, স্বচ্ছতা এবং দায়িত্ববোধের যে উদাহরণ স্থাপন করেছেন তা একবারেই বিরল। আমাদের জানা মতে সত্যিকারের মজলুমদের পাশে দাঁড়াতে তিনি কখনো কারো সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির পরওয়া করতেন না। অনেক ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়ে তিনি আইনি সহায়তা প্রদান করেছেন।
আরও পড়ুন: ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক মারা গেছেন
মজলুমদের পক্ষে তার এ লড়াই ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে উল্লেখ করে জামায়াত নেতারা বলেন, মজলুমদের পক্ষ থেকে আমরা তাকে গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি। তার ইন্তিকালে জাতি একজন প্রবীণ খ্যাতিমান আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও অভিভাবককে হারালো। জাতির বর্তমান সংকটকালে তার মতো একজন দেশপ্রেমিক ও ইসলামপন্থি আইনজীবীর বড়ই প্রয়োজন ছিল। তার ইন্তিকালে আমরা আমাদের অতি আপনজনকে হারানোর বেদনা অনুভব করছি। আল্লাহ তাআলা তার এ শূন্যতা পূরণ করে দিন।
তারা আরও বলেন, আমরা তার রূহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে দোয়া করছি যে, তিনি তার জীবনের গুনাহসমূহ মাফ করে দিন, তার নেক আমলসমূহ কবুল করুন এবং তাকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে গ্রহণ করে উচ্চ মর্যাদা দান করুন। আমরা তার শেক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আল্লাহ আআলা আমাদের সবাইকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন, আমীন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
রোববার (৪ মে) বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
আব্দুর রাজ্জাক ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির জানান, আব্দুর রাজ্জাক ধানমন্ডিতে ইবনে সিনা হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। সেখানে আজ বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে তিনি মারা যান।