রোববার (৩০ মার্চ) প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ব্যাংকক পুলিশ আরও জানিয়েছে, ‘উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সরঞ্জাম থাকা সত্ত্বেও তারা এখন পর্যন্ত কাউকে জীবিত বের করতে পারেনি। এছাড়া ভবনটির ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে কমপক্ষে দুই মাস সময় লাগবে।’
আরও পড়ুন:মিয়ানমারে ফের ভূমিকম্প, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০০
একটি সংবাদ সংস্থার মতে, রোববার পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। ৩২ জন আহত এবং ৮৩ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। - যাদের বেশিরভাগই ধসে পড়া ভবনের নির্মাণ শ্রমিক।
থাইল্যান্ডের স্টেট অডিট অফিসের (এসএও) মালিকানাধীন ব্যাংককের ভবনটির সঙ্গে চীনের সংযোগ আছে বলেও জানা গেছে। ভবনটি তিন বছর ধরে নির্মাণাধীন ছিল এবং এর ব্যয় দুই বিলিয়ন বাথ (৪৫ মিলিয়ন পাউন্ড) এরও বেশি।
যুক্তরাজ্যের দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, এসএও ভবনটি ইতালীয়-থাই ডেভেলপমেন্ট পিএলসি (আইটিডি) এবং চায়না রেলওয়ে নম্বর ১০ (থাইল্যান্ড) লিমিটেডের একটি যৌথ উদ্যোগ।
চীনা-সংশ্লিষ্ট এই প্রতিষ্ঠানটি এখন তদন্তাধীন। তবে ব্যাংকক পুলিশ এনডিটিভিকে জানিয়েছে, তারা জানে যে চীনা কোম্পানিটি ভবনটি নির্মাণ করছিল, কিন্তু তারা এখনই চীনকে এভাবে দোষারোপ করতে পারে না।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা নির্মাণাধীন ভবনটির কাঠামোগত বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ কেউ দাবি করেছেন যে ব্যাংককের মাত্র ১০ শতাংশ ভবন ভূমিকম্প-প্রতিরোধী।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুরে মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের কাছে শক্তিশালী ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এতে প্রতিবেশি থাইল্যান্ডেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়া প্রতিবেশি কয়েকটি দেশেও কম্পন অনুভূত হয়।
আরও পড়ুন:ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত, তবুও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী!
]]>