সীমান্তে উত্তেজনা থামলেও, থেমে নেই ভারত-পাকিস্তানের কথার লড়াই। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দুই দেশেরই। যার প্রভাবে বন্ধ হয়েছে দুই দেশের ঘরোয়া সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর পিএসএল ও আইপিএল। দুটি টুর্নামেন্টই আবারো মাঠে গড়াতে যাচ্ছে। তবে আইপিএল মাঠে গড়ানোর তারিখ ঘোষণার পর থেকে একের পর এক বোমা হামলার হুমকি পেয়ে আসছে দেশটি।
জয়পুরের সাওয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে এই মৌসুমে নতুন ফিক্সচারে ম্যাচ রাখা হয়েছে ৩টি। ম্যাচ সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে সব ধরনের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করে রেখেছে রাজ্য কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাধ সেধেছে একের পর এক বোমা হামলার হুমকি। সবশেষ মঙ্গলবার দুপুরে ই-মেইলে হুমকি দেয়া হয় বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়া হবে সাওয়াই মানসিং স্টেডিয়াম। মেইলে লিখা ছিল, আপারেশন সিঁদুরের সাফল্য উদযাপন করতে আমরা স্টেডিয়ামে বোমা বিস্ফোরণ ঘটাব। যদি পারেন সবাইকে বাঁচিয়ে দেখান। এমন হুমকি পাওয়ার পরই সবাইকে স্টেডিয়াম থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। বোম ডিসপোজাল ইউনিট তল্লাশি চালায়। যদিও সেখানে কোন কিছুই পায়নি তারা। পাকিস্তান জেকে ওয়েব নামক একটি ইমেইল থেকে এই হুমকি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: মোস্তাফিজ আইপিএলে খেলবেন, জানে না বিসিবি
জানা গেছে গেল ৮ ও ১২ মে একইভাবে এই স্টেডিয়ামে বোমা হামলার হুমকি দেয়া হয়েছিল। সে সময়ও তল্লাশি করে কিছুই পাওয়া যায়নি।এর প্রেক্ষিতে রাজস্থান রাজ্য ক্রীড়া সংসদের মুখ্যকর্তা নীরাজ কে পবন জানিয়েছেন, স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে। সমর্থকদের আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ করেন। সবাই যেন নির্বিঘ্নে ম্যাচ উপভোগ করতে পারে সেই ব্যাপারে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, ধর্মশালায় মাঝ পথে বন্ধ হয়ে যাওয়া ম্যাচের ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও জানিয়েছে বিসিসিআই। ১০ ওভার ১ বল হওয়ার পর পাকিস্তানি হামলার শঙ্কায় বন্ধ করে দেয়া হয় সেই ম্যাচ। ২৪ মে ম্যাচটি আবারো প্রথম থেকে মাঠে গড়াবে।
আরও পড়ুন: আইপিএলের বাকি অংশে থাকছেন না একাধিক ইংলিশ ক্রিকেটার
এদিকে বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে দোটানায় পড়তে যাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। কারণ ১১ থেকে ১৫ জুন থেকে শুরু হতে যাচ্ছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। তার আগে আছে প্রস্তুতি সিরিজও। তাই প্লে অফের আগেই আইপিএল ছাড়তে পারেন সাউথ আফ্রিকান ক্রিকেটাররা। প্রথমবারের মতো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে প্রোটিয়ারা। তাই বেশ সিরিয়াস এই ইভেন্ট নিয়ে। এই বিষয়ে শেষ পর্যন্ত কি সিদ্ধান্ত আসে সেটাই দেখার ব্যাপার।
]]>