বৈসাবি উৎসবে মাতোয়ারা কাপ্তাই পাহাড়

৬ দিন আগে
চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষকে বরণ উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে পাহাড়ে পাহাড়ে শুরু হয়েছে উৎসব। নদীতে ফুল ভাসিয়ে শুরু হয় বিজু উৎসবের। এ উৎসব চলবে ৩ দিন। কাপ্তাইয়ে পাহাড়ে শুরু হয়েছে তিনদিনের প্রধান সামজিক উৎসব বৈসাবি।

চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে উৎসবটিকে চাকমারা বিজু, মারমারা সাংগ্রাই এবং ত্রিপুরারা বৈসুক নামে পালন করে থাকেন। শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে আশীর্বাদের উদ্দেশে কর্ণফুলী নদী গঙ্গাজলে ফুল ভাসিয়ে সূচিত হয় উৎসবটির। 


এদিন থেকে পার্বত্য কাপ্তাইয়ের ৫টি ইউনিয়নের পাহাড়িদের ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে আপ্যায়ন। এ উৎসব  শেষ হবে সোমবার (১৫ এপ্রিল)। পাহাড়ি নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের বিশ্বাস মতে, পুরনো বছরের সব পাপ -আপদ-বিপদ, গ্লানি, ব্যর্থতা ধুয়ে-মুছে ফেলতে এবং নতুন বছরের মঙ্গলের জন্য সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে প্রার্থনা জানিয়ে গঙ্গাজলে ফুল ভাসিয়ে নিবেদন করা হয় পুষ্পাঞ্জলি। 

আরও পড়ুন: বৈসাবি উপহার পেলেন ৩ হাজার ভিডিপি সদস্য

গেল শনিবার সকালে কাপ্তাই বড়ইছড়ি সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীর পাড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন করেছে সর্বজনীন উদযাপন কমিটির উদ্যোগে। এতে অংশ নেন কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন রুহুল আমিন, উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অরুণ কুমার তালুকদার, অজিত কুমার তালুকদারসহ স্থানীয় সামাজিক ও প্রথাগত নেতৃত্ব, শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ পাহাড়ি নারী-পুরুষ।


এর পরপরই উৎসবমুখর পরিবেশে পাহাড়িদের ঘরে ঘরে উদযাপিত হচ্ছে তাদের প্রাণের উৎসবটি। উৎসবের প্রথম দিন চাকমারা ফুল বিজু, মারমারা পাইংছোয়াই, ত্রিপুরারা হারি বৈসুক পালন করে। রোববার (১৩ এপ্রিল) উদযাপিত হয়েছে উৎসবের মূল দিবস। এ দিন চাকমারা মূল বিজু, মারমারা সাংগ্রাইংআক্যা, ত্রিপুরারা বৈসুকমা নামে পালন করবে উৎসবটি। সোমবার বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন বা উৎসবের তৃতীয় দিন বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে জানিয়েছেন আয়োজকরা। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন