হীরা ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি ভারতের পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের এক মামলায় অভিযুক্ত আসামি। ২০১৮ সালের ২৩ মে মুম্বাইয়ের আদালতে চোকসির বিরুদ্ধে দু’টি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এরপর ২০২১ সালের ১৫ জুন তার বিরুদ্ধে আবারও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এই পরোয়ানাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে চোকসিকে। সিবিআই সূত্র জানিয়েছে, বেলজিয়াম পুলিশ গত শনিবার (১২ এপ্রিল) মেহুল চোকসিকে গ্রেফতার করে।
এদিকে চোকসির আইনজীবী বিজয় আগারওয়াল জানিয়েছেন, ৬৫ বছর বয়সি এই ব্যবসায়ী আপাতত বেলজিয়ামের জেলে রয়েছেন। তিনি জানান, চোকসি এই গ্রেফতারের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন জানাবেন পারেন। ভারতে প্রত্যার্পণের বিরোধিতা করেও আবেদন জানাবেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘অবৈধ’ দাবি করে ভারতে ভেঙে ফেলা হলো মাদরাসা
২০১৮ সালে মেহুল চোকসি ও ভাগ্নে নীরব মোদির বিরুদ্ধে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক ১৩ হাজার ৮৫০ কোটি রুপি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি সামনে আসার পর তারা দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমান। দীর্ঘদিন তারা অ্যান্টিগা ও বারবুডায় ছিলেন।
দেশটিতে নাগরিকত্বও রয়েছে তার। চোকসির আবেদনে সাড়া দিয়ে ২০২৩ সালে অ্যান্টিগা ও বারবুডার বিচারবিভাগ জানায়, তাকে দেশটি থেকে কোথাও নিয়ে যাওয়া যাবে না। ফলে সেখানে থাকাকালীন তাকে ভারতে ফেরানো এবং বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।
অ্যান্টিগা ও বারবুডা থেকে পরে বেলজিয়ামে চলে যান চোকসি। গত মাসে বেলজিয়াম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, মেহুল চোকসি তাদের দেশে আছেন। এরপর ভারত সরকারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তারা তার অবস্থান জানেন বলে নিশ্চিত করে। তবে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ব্যক্তিগত মামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করে না।
আরও পড়ুন: অন্ধ্রপ্রদেশে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, ৮ শ্রমিকের মৃত্যু
তবে এখান থেকে তাকে ফেরানো সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। সেই চেষ্টাই শুরু করেছে ভারতের সংস্থাগুলো। এদিকে তার ভাগ্নে নীরব মোদিও পিএনবি-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত। তাকে ভারতে ফেরানোর জন্য ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে।
]]>