নবীজি বেচা-কেনায় যে চার পদ্ধতি নিষিদ্ধ করেছেন:
মুহাকালা, মুজাবানা ও মুখাবারা
ব্যবসায় মুহাকালা, মুজাবানা ও মুখাবারা নিষেধ করেছেন নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। হজরত জাবের (রা.) বলেন,
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহাকালা (খেতের শস্য নির্ধারিত পরিমাণ খাদ্যের বিনিময়ে বিক্রি করা), মুজাবানা (গাছের খেজুর কয়েক ওসাক (এক ওসাক ৬০ সা, ১ সা প্রায় ৩ কেজির সমান) খুরমার বিনিময়ে বিক্রি করা, মুখাবারা (এক তৃতীয়াংশ, এক চতুর্থাংশ বা এমন নির্দিষ্ট কোনো অংশ) এবং খেজুর লাল বা মেটে লাল অথবা খাদ্যোপযোগী হওয়ার আগে বেচাকেনা করতে নিষেধ করেছেন। (মুসলিম, হাদিস: ৩৭৬৭)
আরও পড়ুন: মানুষ মারা গেলে কখন বুঝতে পারে সে মারা গেছে
তালাককিয়ে জালব
‘তালাক্কিয়ে জালব’ আরবি পরিভাষা। ফকিহরা এর ব্যাখ্যায় বলেন, ‘শহরের বাইরে থেকে যেসব ব্যবসায়ী কাফেলা পণ্য নিয়ে শহরে আসে, শহরে পৌঁছার আগে তাদের থেকে পণ্য কেনা বা শহরতলি থেকে সব পণ্য কিনে নিয়ে ওই পণ্য শহরে এনে বেশি দামে বিক্রি করা। রসুলুল্লাহ (সা.) এভাবে পণ্য কিনতে নিষেধ করেছেন। নবীজি বলেছেন,
বাজারে পৌঁছার আগে পণ্য যেন ক্রয় করা না হয়। (মুসলিম, ১৫১৮)
তাশরিয়া
‘তাশরিয়া’ অর্থ জমা করা। গরু বা ছাগল বেশি দামে বিক্রির জন্য দুধ দোহন না করে ওলানে জমা করে রাখা হলো তাশরিয়া। এই পদ্ধতিতে ধোঁকা আছে। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
তোমরা উট, ছাগল ইত্যাদিকে এভাবে দুধ আটকে রেখে বিক্রি করো না। কেউ যদি এভাবে বিক্রি করে, তাহলে দুধ দোহনের পর ক্রেতার ওই পশু নেওয়া বা না নেওয়ার ইচ্ছা থাকবে। তবে না নিলে পশু ফেরত দেওয়ার সময় এর সঙ্গে সাড়ে তিন সের খেজুর দিতে হবে। (মুসলিম, হাদিস: ১৫১৫)
আরও পড়ুন: নবীজির জন্মের পূর্বে যেমন ছিল আরবের ধর্মীয় অবস্থা
সামসারা
‘সামসারা’ হলো দালালি করা। আমাদের দেশে গরু-ছাগলের হাটে দালালচক্রের আনাগোনা বেশি পরিলক্ষিত হয়। ধোঁকা দেওয়ার জন্য দালালি করা গুনাহ।
রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
এক মুসলমান যেন অপর মুসলমানের ওপর গিয়ে পণ্যের দাম না বলে এবং বিয়ের আলোচনা চলা অবস্থায় প্রস্তাব না দেয়; তবে যদি অনুমতি দেয়। (মুসলিম, হাদিস: ১৪১২)
]]>