রাজধানী ব্যাংককের চাতুচাক জেলায় সরকারি অফিস হিসেবে ৩০ তলা ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছিল। প্রায় ৩২০ জন কর্মী কাজ করছিলেন সেখানে। কিন্তু এর মধ্যেই আঘাত হানে ভয়াবহ ভূমিকম্প। এতে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ভবনটি।
এতে প্রায় ১০০ জন নির্মাণশ্রমিক ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়ে। উদ্ধার অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫ জনকে মৃত উদ্ধার করা গেছে। উৎকণ্টা নিয়ে ধ্বংসস্তূপের সামনে সময় পার করছে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন।
যারা নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরেছেন তাদের একজন খিন অং। শনিবার (২৯ মার্চ) এএফপিকে এক সাক্ষাৎকারে অং জানান, তিনি ও তার ছোট ভাই ভবনটিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন। দুই জন দুই শিফটে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পের মধ্যেই ব্যাংককের রাস্তায় শিশুর জন্ম
খিন অং জানান, শুক্রবার দুপুরে তার শিফট শেষ হয় আর তাই ছোট ভাইয়ের শুরু হয়। তার ছোট ভাই কাজ শুরু করার পরই ভবনটি ভেঙে পড়ে। তার ভাষ্য, ‘আমার শিফট দুপুর ১:০০ টার দিকে শেষ হলে আমি পানি আনতে বাইরে যাই এবং বাইরে যাওয়ার আগে ছোট ভাইয়ের সাথে দেখা করি।’
‘এর মধ্যে আমি সর্বত্র ধুলো দেখতে পাই এবং ধসে পড়া ভবন থেকে বাঁচতে দৌড়ে পালাই। এরপর আমি আমার ভাই ও বন্ধুদের ভিডিও কল করি। কিন্তু কেবল একজনই ফোন ধরে। কিন্তু আমি তার মুখ দেখতে পাচ্ছিলাম না এবং আমি শুনতে পাচ্ছিলাম যে সে দৌড়াচ্ছে।’
খিন অং আরও বলেন, ‘সেই মুহূর্তে পুরো ভবনটি কাঁপছিল। কিন্তু আমি যখন তার সাথে ফোনে কথা বলছিলাম, তখন আমার ফোন কেটে যায় এবং ভবনটি ধসে পড়ে।’
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়াল
খিন অংয়ের ছোট ভাই ও বন্ধুবান্ধব এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। এই নির্মান শ্রমিকের কথায়, ‘আমি কেমন অনুভব করছিলাম তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এটা ঘটেছিল চোখের পলকে। আমার সব বন্ধুবান্ধব ও ভাই ভবনটি ধসের সময় ভেতরে ছিলেন। বলার মতো কোনো ভাষা আমার কাছে নেই।’
]]>