নিহত মো. মিজান চাঁদপুরে ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের আদশা গ্রামের মৃত এরশাদ মিজির ছেলে।
এ বিষয়ে সৌদি আরব থেকে নিহতের চাচাতো ভাই মানিক হোসেন জানান, মিজানের সবজিভর্তি পিকআপভ্যানের সঙ্গে বিপরীত পথের আরেকটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মো. মিজানসহ চারজন নিহত হন।
নিহতের স্বজন ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পারভেজ মোশাররফ জানান, বৃদ্ধা মা শিরীন বেগম এবং স্ত্রী উম্মে সালমাকে এবার হজে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল মো. মিজানের। এ জন্য সবধরনের প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই সেই স্বপ্ন মাটি হয়ে গেলো।
আরও পড়ুন: সৌদিতে ফুড ডেলিভারি করতে গিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবকের মৃত্যু
পারভেজ মোশাররফ আরও জানান, গত ১০ বছরের মধ্যে মো. মিজান তার বাবা, এক ভাই ও একমাত্র বোনকেও হারান। এতে শোক কাটিয়ে বৃদ্ধা মা শিরীন বেগম এই ছেলেকে নিয়েই স্বপ্ন দেখছিলেন।
এ দিকে, পরিবারে বেঁচে থাকা আয়ের অবলম্বন ছেলে মো. মিজানকে হারিয়ে এখন অনেকটা পাগলপ্রায় বৃদ্ধা মা শিরীন বেগম। স্ত্রী উম্মে সালমাও স্বামীর এমন মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। তার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছেলে আর এক মেয়ে বুকে জড়িয়ে কান্না করছেন।
আরও পড়ুন: সৌদিতে সড়কের পাশে পড়েছিল বাংলাদেশি ইমামের রক্তাক্ত মরদেহ
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত ২০০২ সালে সৌদি আরবে পাড়ি জমান মো. মিজান। সেখানে পিকআপভ্যান চালক ছিলেন তিনি। সবশেষ গত জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন মো. মিজান।
এ দিকে, দ্রুত সময়ের মধ্যে মো. মিজানের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান স্বজন ও এলাকাবাসী। একইসঙ্গে ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য সৌদি আরবের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তারা।