বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণী

১ সপ্তাহে আগে
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বিয়ের দাবিতে এক কলেজ শিক্ষার্থী তরুণী (২০) প্রেমিক রেদোয়ান হোসেন জিহাদের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। তার অবস্থান দেখে প্রেমিকের বাড়ির লোকজন ঘরে তালা দিয়ে সঁটকে পড়েছেন বলে অভিযোগ।

কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের মিঝিপাড়া আকরাম সওদাগর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। তরুণীকে দেখতে ভিড় জমিয়েছেন আশপাশের মানুষজন।

 

বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে ঘটনাস্থল গিয়ে জিহাদের বাসার দরজার সামনে তরুণীকে বসে থাকতে দেখা যায়। তবে এসময় দরজায় তালা লাগানো ছিল। জিহাদসহ তার পরিবারের কেউই বাড়িতে ছিল না।

 

এদিকে, ওই তরুণী মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে এসে বিয়ের দাবিতে ওই বাড়িতে অবস্থান নেয়।

 

প্রেমিক জিহাদ মিঝিপাড়া এলাকার মৃত আকরাম হোসেন সওদাগরের ছেলে। তরুণীও একই এলাকার বাসিন্দা। দু'জনেরই পাশাপাশি বাড়ি।


আরও পড়ুন: প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ গেল প্রেমিকের

 

তরুণী ও জিহাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর ধরে তরুণীর সঙ্গে জিহাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এরমধ্যে বিভিন্ন সময় তারা শারীরিক সম্পর্ক জড়ায়। সম্প্রতি (ঈদের পর) তারা ঘুরতে নোয়াখালী যায়। সেখানেও তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়। সেখান থেকে ফিরে তরুণী মঙ্গলবার সকালে জিহাদের বাড়িতে এসে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়। পরে তরুণীকে মারধর করে ছেলের মা। একপর্যায়ে মেয়ের হাত থেকে ছেলের বন্ধুরা মোবাইল কেড়ে নিয়ে যায়। জিহাদ দুইদিন ধরে পলাতক বলে জানিয়েছেন তরুণী।

 

তরুণীর দাবি, বিয়ে ছাড়া তার কাছে আর কোনো উপায় নেই। জিহাদের সঙ্গে তার দেড় বছরের সম্পর্ক। বিয়ে তাকে করতেই হবে। জিহাদ এখন পালিয়ে গেছে। সে তার মান সম্মান নষ্ট করেছে, এজন্য জিহাদ তাকে বিয়ে করতেই হবে।

 

এদিকে, জিহাদের পরিবারের দাবি, খালি বাসার সামনে এসে মেয়েটি অবস্থান নেয়। তখন বাসায় কেউ ছিল না। পরিকল্পিতভাবে মেয়েটি মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।


বক্তব্য জানতে জিহাদের মোবাইল ফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার বড় ভাই জামাল উদ্দিন বলেন, মেয়েটির আগে দুই বিয়ে হয়েছে। এছাড়া কয়েকজন যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমার ভাইয়ের সঙ্গে কিছুদিন হল তার সম্পর্ক হয়। এরমধ্যে পরিকল্পিতভাবে সে আমাদের বাড়িতে এসে অবস্থান নিয়েছে। এর সঙ্গে তার মাসহ পরিবারের সদস্যরা জড়িত আছে।


আরও পড়ুন: প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে খুলনায় গিয়ে লাশ হলেন ঢাকার যুবক

 

তরুণীর ভাই রিয়াজ উদ্দিন ক্যামেরার সামনে কথা বলেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, সে আমাদের বোন ছিল। এখন সে আমাদের বোন না। তার ব্যাপারে আমরা কোনো কিছু জানি না।

 

কমলনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুল হাসান বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। কেউ আমাদের জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন