বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে দিনাজপুর পিবিআই’র অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।
পিবিআই জানায়, গত ২০ এপ্রিল রাতে বীরগঞ্জ উপজেলার ডাকেশ্বরী গ্রামের প্রাণনাথ দাস তার শ্বশুর নিপেন্দ্র নাথের বাড়িতে যান। ওই রাতে তার স্ত্রী পূজা রানী দাসের পরপুরুষের সঙ্গে পরকীয়া বিষয় নিয়ে তাদের মধ্য কলহ দেখা দেয়।
বিষয়টি নিয়ে পূজা রানি দাসের ভাই দিপু দাস প্রাণনাথকে ঘরে নিয়ে নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান প্রাণনাথ। বিষয়টি আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেয়ার জন্য প্রাণনাথের মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে ওই রাতে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় দিপুসহ কয়েকজন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তাকে হাসপাতালে নেয়ার অনেক আগেই মারা যান।
ঘটনাটি আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেয়ার জন্য প্রাণনাথের শাশুড়ি জোসনা রানি বীরগঞ্জ থানায় গত ২১ এপ্রিল একটি ইউডি মামলার আবেদন করেন। বিষয়টি নিয়ে প্রাণনাথের মা সারতি রানী দাস ছেলেকে হত্যার অভিযোগ এনে গত ৩১ জুলাই দিনাজপুর পিবিআই কার্যালয়ে যান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ডোবায় মাদ্রাসাছাত্রের বস্তাবন্দি মরদেহ, হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন যেভাবে
অভিযোগের সূত্র ধরে পিবিআই’র একটি দল তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে হত্যার প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ পায় দলটি। পরে ২০ অক্টোবর প্রাণনাথের মা সারতী রানী বাদী হয়ে বীরগঞ্জ থানায় চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মামলার চার আসামি হলেন, প্রাণনাথের স্ত্রী পূজা রানি দাস (১৯), তার শাশুড়ি জোসনা রানি দাস (৪৫), শ্বশুর নৃপেন্দ্রনাথ দাস (৫২) এবং স্ত্রী বড় ভাই দিপু রায় (২২)। গত ২২ অক্টোবর পিবিআই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাহফুজ্জামান জানান, গ্রেফতার দিপু ও পূজা রানিকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়। তারা প্রাণনাথকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। প্রাণনাথের সম্বন্ধী দিপু আজ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।’
]]>
৩ সপ্তাহ আগে
৪







Bengali (BD) ·
English (US) ·