সোমবার (৩১ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার প্রথমবারের মতো বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ১০০ ডলার ছাড়িয়েছে।
স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্সে ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১১৭ দশমিক ২৯ ডলারে, যা দিনের শুরুতে পৌঁছেছিল রেকর্ড ৩ হাজার ১২৮ দশমিক ০৬ ডলারে। আর ফিউচার মার্কেটে স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্সে ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ৩ হাজার ১৫১ দশমিক ১০ ডলারে বেচাকেনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৩ মাসেই ১৭ দফা সমন্বয়, স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী কেন?
মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক পরিকল্পনার ফলে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধ আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বিবেচিত মূল্যবান ধাতুটির প্রতি আস্থা রাখতে শুরু করেছেন।
সম্প্রতি ক্যাপিটাল ডটকমের আর্থিক বাজার বিশ্লেষক কাইল রোডা বলেছেন, মার্কিন বাণিজ্য-রাজস্ব নীতি, ফেডের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে বাড়ছে স্বর্ণের দাম।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববাজারে যে হারে দাম বাড়ছে, এতে যে কোনো সময় প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে। আর বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে এর প্রভাব পড়ে দেশের বাজারেও। তাই যে কোনো সময় দেশের বাজারেও দাম সমন্বয় করা হতে পারে।
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে থাকে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সে হিসেবে সবশেষ গত ২৮ মার্চ দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৭৭৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম।
আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম, কারণ কী?
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫০ হাজার ৬৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৯ হাজার ১৬৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৬ হাজার ৫৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয় গত ২৯ মার্চ থেকে।
এ নিয়ে চলতি বছর ১৭ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ১৩ বার, আর কমেছে মাত্র ৪ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।